শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঝিনাইদহে সাবেক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ

আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৯, ২০:১১

ঝিনাইদহে সাবেক এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ফিরোজ আলম। শনিবার কোটচাঁদপুর পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা এ অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে ফিরোজ আলম বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার ছেলে রাব্বি আলম ডিজুর সঙ্গে কোটচাঁদপুর পূর্বপাড়ার সাবেক পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলামের মেয়ে নিতুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। দিন যত যায় অশান্তি বাড়তে থাকে। বউমা নিতু পুলিশের মেয়ে হওয়ায় প্রায়ই পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এছাড়া সে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপরও আমরা সংসার টেকানোর চেষ্টা করি। কিন্তু একদিন সে তার মাকে খবর দেয়। মা এলে বলে তার স্বামীর সঙ্গে আর ঘর সংসার করবে না।

তিনি আরো বলেন, একদিন বউমা তার মাকে খবর দেয়। মা এলে বলে তার স্বামীর সঙ্গে আর সংসার করবে না। এরপর তারা বাসার সকল মূল্যবান জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে যায়। বেধে রেখে যায় আরো মালামাল। কোন উপায় না দেখে আমার ছেলে ডিজু আইন মোতাবেক তার কাবিন ও খোর পোশের টাকা এবং তালাকনামা গেল ১১-০৯-১৯ তারিখে ডাক যোগে পাঠিয়ে দেন। যা তারা গত ১৬-০৯-১৯ তারিখে ডাক ঘর থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও তালাক নামা গ্রহণ করেন।

ফিরোজ আলম অভিযোগ করে বলেন, বউমা নিতু তার কাবিন ও খোর পোশের টাকা নেওয়ার আগেই ডিজুসহ ৭ জনকে আসামি করে নারী নির্যাতন আইনে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করেন। এরপর ডিজু জেল থেকে জামিন পেলে পেন্ডিং মামলাসহ ফেন্সিডিল, ইয়াবা মামলার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন 
সাবেক পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলাম। 

ফিরোজ আলম বলেন, এছাড়া তিনি (সাবেক পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলাম) আমার বিরুদ্ধে খুলনা আদালতে একটা মামলাও করেছেন। হুমকি দিচ্ছেন আরো মামলা করার। এ ধরনের হয়রানি ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। 

এদিকে সাবেক পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে তিনি যে সব অভিযোগ করেছেন তা সব মিথ্যা। উল্টো তিনি আমাকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচ