খুলনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হায়বাত শেখ (২৫) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত হায়বাত শেখ দিঘলিয়া উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের আব্দুস সাত্তার শেখের ছেলে।
নিহত হায়বাত শেখের চাচাতো ভাই কামরুল ইসলাম জানান, পদ্মবিলা গ্রামের আরিফ সরদারের ছেলে জসিম সরদার কয়েকদিন আগে তার চাচাতো ভাই হায়বাতের একটি মোবাইল ফোন চুরি করে। পরে জসিম সরদার মোবাইল ফোনটি ফেরত দিলেও মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ডটি রেখে দেয়। এ নিয়ে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জসিম হায়বাতকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় স্থানীয়রা হায়বাতকে উদ্ধার করে ও জসিমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে হায়বাতকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মানস রঞ্জন ঘোষ বলেন, 'এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।'
আরও পড়ুন: ধামইরহাটে মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হায়বাত শেখের চাচা টিপু শেখকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ইত্তেফাক/নূহু