রংপুরের মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদের শালিসে হাজির না হওয়ার অপরাধে এক বৃদ্ধকে ধরে এনে ইউনিয়ন পরিষদে সারাদিন আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। শুধু সেখানেই ক্ষান্ত হয়নি সে! দিনভর নির্যাতনের পর সন্ধ্যায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় সোপর্দ করে তাকে। উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালুয়ামাসিমপুর ইউনিয়নের বুজরুক সন্তোষপুর চাঁদপাড়া গ্রামের মৃত মোন্নাফ মিয়ার ছেলে বাতেন মিয়া তার বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশী দুলা মিয়া কেতুর (৭৫) বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বিবাদী দুলা মিয়া কেতুকে ইউনিয়ন পরিষদে শালিস বৈঠকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু দুলা মিয়া কেতু শালিস বৈঠকে হাজির হননি। এ অপরাধে ওই ইউপি চেয়ারম্যান চৌকিদার পাঠিয়ে দুলা মিয়া কেতুকে ধরে এনে দিনভর ইউপি অফিসে আটকে রেখে নানাভাবে নির্যাতন করেন। তারপর তার বিরুদ্ধে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে চৌকিদার ও চেয়ারম্যানকে আক্রমণ করার মিথ্যা অভিযোগ এনে মিঠাপুকুর থানায় সোপর্দ করে।
পুলিশ বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা না পাওয়ায় আটক দুলা মিয়া কেতুকে ছেড়ে দেয়।
দুলা মিয়া কেতু বলেন, 'ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে অন্যায়ভাবে চৌকিদার দিয়ে ধরে নিয়ে ইউপি ভবনে আটক রেখে আমাকে দিনভর নির্যাতন করেছে। এর বিচার চাই।'
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রংপুরে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আসামির রহস্যজনক মৃত্যু, পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ
মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, 'বিষয়টির স্থানীয়ভাবে মীমাংসার পরামর্শ দিয়ে বৃদ্ধকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
ইত্তেফাক/নূহু