শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মাদ্রাসা সুপার গ্রেফতার

আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ২০:৪০

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দারকে (৪৮) নামে এক মাদরাসা সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

ইলিয়াস হোসেন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা রাশিদিয় ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার। তিনি একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত আ. গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।

পিবিআই এর বাগেরহাট জেলা প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক জানান, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলাটি গত ১৪ সেপ্টেম্বর পিবিআই এ হস্তান্তর করা হয়। মাদ্রাসা সুপার রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতারের জন্য এর আগে গাজীপুর এবং পিরোজপুরেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে কাটাখালী এলাকা থেকে সে বাসযোগে পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন: ‘শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করতে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে ’

প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া এবতেদায়ী মাদরাসায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মাদরাসা সুপার ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দার। এরপর ওইদিন বিকালে মেয়েটির বাড়িতে যান তিনি। সেখানে গেলে মা-বাবা ও পারিবারের লোকজন মেয়ের অসুস্থতার কথা সুপারকে জানালে তিনি বলেন, হয়ত মাদরাসা থেকে আসার পথে খারাপ বাতাস লেগেছে। তাই রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরে মেয়েটিকে তাবিজ ও পানিপড়া দেন। এতে সে সুস্থ না হওয়ায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতেও সুস্থ না হলে ঘটনার দুদিন পর মেয়েটি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। মা-বাবা মানসম্মানের ভয়ে গোপনে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার রাইসা ক্লিনিকে চিকিৎসা করালে সে কিছুটা সুস্থ হয়। পরে ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মামলার পরামর্শ দেন। এঘটনায় ১৯ আগস্ট রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ওই সুপারের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় মামলা করেন। 

ইত্তেফাক/এএএম