কক্সবাজার শহরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী আরিফ আটক হয়েছেন। এসময় তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঘোনারপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আরিফের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের এক মামলায় দুই বছরের সাজাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া। আটক ছিনতাইকারী মোহাম্মদ আরিফ শহরের গোলদিঘীর পাড় এলাকার (কবরস্থান পাড়া) মোহাম্মদ আলমের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া জানান, আরিফের নেতৃত্বে শহরের গোলদিঘীর পাড়, ঘোনারপাড়া, বৈদ্যঘোনা, বইল্ল্যাপাড়া কেন্দ্রিক একটি ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটে গড়ে উঠে। আর এই ছিনতাইকারীদের হাতে এক প্রকারে জিম্মি হয়ে পড়ে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ। সুযোগ পেলেই মোবাইল, টাকা বা অন্য কিছু পেত সেগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যেত আরিফের নেতৃত্বে ছিনতাইকারীরা।
আরো পড়ুন: দেশে এখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : নাসিম
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার ঘোনারপাড়া এলাকার উত্তম কান্তি দে নামে এক ব্যক্তির মোবাইল ও টাকা ছিনতাই হয়। পরে এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ অভিযানে নামে। একপর্যায়ে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় গোলদীঘিরপাড় এলাকা থেকে ছিনতাইকারী মোহাম্মদ আরিফকে আটক করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আটকের পরই জানা গেছে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়েই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধকর্ম করে বেড়াত তার চক্রটি।
এদিকে, আরিফ আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে গোলদিঘীর পাড়, ঘোনারপাড়া, বৈদ্যঘোনাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। আর তাকে নিয়ে সুবিধা আদায় কারি সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের কয়েক নেতা আরিফকে ছাড়াতে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইত্তেফাক/জেডএইচ