বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নাটোরের নলডাঙায় কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:১৫

নাটোরের নলডাঙায় রাজশাহীর বাগমারারার এক কলেজ ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। নলডাঙা থানা পুলিশ ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত কলেজ ছাত্রী পুঠিয়ার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ের সঙ্গে পুঠিয়ার সাধনপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে শান্ত ইসলামের (১৯) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয়ের বিয়ের জন্য নিজ নিজ পরিবারকে জানায়। তবে কোনো পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তিনিও তাদের বিয়ের প্রস্তাবে আপত্তি জানান। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে শান্ত তার কয়েকজন বন্ধুসহ তার বাড়িতে আসে। তারা ওই কলেজ ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। রাতে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিও করেন বাবা। তবে মেয়ের সন্ধান করতে পারেননি। 

শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নাটোরের নলডাঙ্গা থানার পীরগাছা নামক এলাকার একটি আমগাছের সঙ্গে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বাবা খবর দেয়। পরে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েকে সনাক্ত করেন এবং বাগমারা থানায় খবর দেন। কিন্তু লাশটি নাটোরের নলডাঙ্গা থানা এলাকার মধ্যে থাকায় সেখানে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে নলডাঙ্গা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ওই কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। 

কলেজ ছাত্রীর বাবা আরও অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শান্ত ক্ষোভে ও রাগে তার মেয়ের সঙ্গে এমন ভয়ঙ্কর নৃশংসতা ঘটাতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি। 

বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, 'আমাদের নলডাঙ্গা থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাগমারা থানার সীমান্তবর্তী পীরগাছা এলাকায় কলেজ ছাত্রীর লাশ পাওয়া গেছে।' 

তবে নলডাঙ্গা থানার ওসি উজ্জল হোসেন বলেন, 'প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। মৃতের শরীরে আঘাতেরও কোনো দাগ নেই। সুরাতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।' 

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগে করে জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতের পা সম্পূর্ণ মাটিতে ঠেকে ছিল এবং লাশ নামানোর সময় সাহায্যকারী স্থানীয় মহিলারা নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে মৃতের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি