শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মুক্তিপণ না পাওয়ায় মাদ্রাসাছাত্র খুন, খালাতো ভাইসহ আটক ২

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০১:২১

অপহরণের পর দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে কক্সবাজারের পেকুয়ায় আরাফাত (৮) নামে এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকে নির্মমভাবে খুন করেছে অপহরণকারীরা। শনিবার রাত ৮টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের নাপিতারদ্বিয়া এলাকা ফসলি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকালে শিশু আরাফাত নিজ এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় নিহতের আপন খালাতসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আরাফাত পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা গ্রামের ওমান প্রবাসী রুহুল কাদেরের ছেলে ও বারাইয়াকাটা নুরানী মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করে। আটককৃরা হলেন, মগনামা মিয়াজীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (১৬) ও একই ইউনিয়নের দরদরীঘোনা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে রায়হান (১৮)। এদের মধ্যে রায়হান নিহত আরাফাতের আপন খালাতো ভাই।

পুলিশ সুত্র জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়  আরাফাত। আব্দুল কাদের, রায়হানসহ আরও কয়েকজন তাকে অপহরণ করে সিএনজিতে নিয়ে যায়। পরে রাতে আরাফাতের খালা গোলতাজ বেগমকে অপহরণের কথা জানায় তারা। গোলতাজ বেগমের মাধ্যমে অপহরণের খবরটি আরাফাতের মায়ের কাছে পৌঁছায়। এ সময় অপহরণকারীরা ১০লাখ  টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে মুক্তিপণের বিষয়টি পুলিশ অবগত হলে অভিযান চালিয়ে পেকুয়া সদরের মাতবরপাড়া গ্রাম থেকে সকালে আব্দুল কাদেরকে আটক করে। পরে দুপুরে রায়হানকে মগনামা দরদরীঘোনা থেকে আটক করে।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক কামরুল আজম জানান, চাঁদার দাবিতে শিশু আরাফাতকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। মগনামা নাপিতারদিয়া ধানি জমি থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলা টিপে হত্যা করে জমিতে ফেলে রাখা হয়েছে। অপহরণের দিন বা রাতের যেকোনো সময়ে তাকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। 

তিনি আরও জানান, আটককৃতদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপহৃত আরাফাতকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে যায় পুলিশ। তারা একেক সময় একেক ম্যাসেজ দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে। অপহরণকারী রায়হানের আপন খালাতো ভাই আরাফাত। টাকার জন্য আপন খালাতো ভাইকে অপহরণ করে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে তারা। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পেছনে আরও কারা কারা রয়েছে তা বের করতে কাজ করছে পুলিশ।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি