দিনমজুর পিতার সন্তান আল ইমরান। ছোট বেলা থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। বাবা-মা স্বপ্ন দেখতেন ছেলে লেখাপড়া করে অভাবী সংসারের হাল ধরবেন। দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন আজ পূরণ হতে চলছে। কিন্তু আর্থিক সংকটই এখন বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিলেট মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছে না এ শিক্ষার্থী।
আল ইমরান কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল গ্রামের দিনমজুর আহাদ আলীর দ্বিতীয় পুত্র। ২০১৭ সালে স্থানীয় কৃষ্ণমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং ২০১৯ সালে উলিপুর মহারানী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়।
অদম্য মেধাবী আল ইমরানের সিলেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হলেও আর্থিক সংকটের কারণে ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসলে আল ইমরান হয়ে উঠবে আগামীর ভবিষ্যৎ।
গ্রামের হত-দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের পাশে থাকতে চান এমনটাই স্বপ্ন দেখে সে। আল-ইমরানের মোবাইল নম্বর (০১৭৭৩১১৬৮০৯)।
ইমরানের পিতা আহাদ আলী বলেন, ‘হামরা গরিব মানুষ, দুঃখে কষ্টে ছাওয়াটাক পড়ালেখা করাইছি। ট্যাকার জন্য ছাওয়াটাক ভর্তি করা নিয়া চিন্তাই আছোং। কটে পাইম এ্যাতো ট্যাকা বাবা।’
ইত্তেফাক/জেডএইচ