চট্টগ্রামে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে নগরীর লালদীঘি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত ওই যুবকের নাম রবিউল আলম। সে কথিত সাইবার পার্টির সমন্বয়ক। রবিউল বাঁশখালীর বাসিন্দা এবং সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের শ্রমিক।
আরও পড়ুন: ভোলার পুলিশ সুপারের ফেসবুক আইডি হ্যাকড
জানা গেছে, রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট ছড়িয়ে পড়তে থাকে। প্রতিটি পোস্টই ছিল ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং উসকানিমূলক। এমনকি হাটহাজারী মাদরাসায় পুলিশ আক্রমণ করেছে এমন গুজবও ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে শনাক্ত হয় পোস্টদাতা। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সম্প্রতি ভোলার ঘটনাকে জড়িয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তোলার উদ্দেশে পোস্টগুলো দেওয়া হচ্ছিল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকৃতকৃত ওই যুবক পুশিশের কাছে স্বীকার করেছে।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার আইডি থেকে গুজব রাটানোর কথা স্বীকার করেছে রবিউল। তার বিরুদ্ধে সাইবার আইনে একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার এ পোস্টগুলো ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যে কারণে অনেক মানুষ না জেনে এগুলো শেয়ার করেছে। দেশের ভেতরে একটা অরজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতারের পর পরই কোতোয়ালি থানা কার্যালয়ে রেখে রবিউল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাটহাজারী এলাকার জনৈক জাকেরের নির্দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছিলেন বলে রবিউল আলম স্বীকার করেছে।’
ইত্তেফাক/এএএম