বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নিচ্ছে মোদি সরকার

আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৪০

ভারতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, তার দুই সন্তান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্রকে আর এসপিজি বা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের নিরাপত্তা বলয় দেওয়া হবে না। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে কংগ্রেস। খবর এনডিটিভির। 

সম্প্রতি একটি নিরাপত্তা পর্যালোচনা শেষে গান্ধী পরিবারের ওপর থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা অর্থাত্ এসপিজি সুরক্ষা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এখন থেকে ‘এসপিজি’ সুরক্ষা পাবেন কেবল দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এসপিজি সুরক্ষায় ৩ হাজার নিরাপত্তারক্ষী দায়িত্বে থাকেন। তবে ‘জেড প্লাস’ সুরক্ষা ব্যবস্থাতেও যথেষ্ট নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকে। ‘জেড প্লাস’ সুরক্ষা মানে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াংকা গান্ধীর নিরাপত্তায় সব সময় বহাল থাকবেন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) প্রায় ১০০ কর্মী।

১৯৯১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যার পর থেকেই এসপিজির আওতায় ছিল গান্ধী পরিবার। তবে মোদি সরকারের সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তে তাদের নিরাপত্তা স্তর কিছুটা হলেও লঘু করা হলো বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা।

সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে গতকাল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াংকা গান্ধীর জীবন নিয়ে খেলা করা হচ্ছে।

ইন্দিরা গান্ধীকে তার দেহরক্ষীরা হত্যা করার এক বছর পরে ১৯৮৫ সাল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারকে বিশেষ সুরক্ষা দিতেই এসপিজি সুরক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সরকারি সূত্র মতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারে এই এসপিজি সুরক্ষা ব্যবস্থাটি নিয়ে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পর্যালোচনা করার বিধান আছে। গত আগস্টেই সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের এসপিজির নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া এবং ভি পি সিংয়ের কাছ থেকে ঐ সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে প্রয়াত হওয়ার আগে পর্যন্ত এসপিজি সুরক্ষা পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি।

ইত্তেফাক/এসআর