বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হলে ভালো হত’

আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪৪

অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মসজিদ না বানিয়ে, মন্দির না বানিয়ে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয় এরকম একটি প্রতিষ্ঠান বানানো হলে ভালো হত। দেশটির একজন শিক্ষাবিদ ড: মীরাতুন নাহার অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন।  

ভারতের সংবাদ মাধ্যমে এই শিক্ষাবিদ বলেছেন, ‘শীর্ষ আদালতকে নির্দেশ দেবার অধিকার আমার নেই। তবু দেশকে ভালবাসি বলে আমার বারংবার এই রায় শোনার পর মনে হয়েছে, বিতর্কিত জমিতে মসজিদ না বানিয়ে, মন্দির না বানিয়ে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয় এরকম একটি প্রতিষ্ঠান বানানোর কথা বললে কেমন হত? সেটা কি ভাল হয় না? তাহলে তৈরি বিতর্কেরও অবসান হয়ে যেত। সরাসরি দেশের মানুষের উপকার হত তাতে।’

তিনি আরো বলেছেন, মন্দির-মসজিদ নিয়ে বিতর্ক করার সময় আমাদের নেই। দেশ-উন্নয়নের ভাবনা ভাবার জন্য আমরা ও দেশনায়করা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিতর্কিত জমিতে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হলেই ভাল হত– এটাই আমার বিনীত অভিমত।

মীরাতুন নাহার বলেন, বাবরি মসজিদ-রামজন্মভূমি এই বিতর্কের অবসান ঘটাবার জন্য শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছে, সেই রায়ের দুটো দিক আমি দেখতে পাচ্ছি। একটা সদর্থক অন্যটা নঞর্থক। সদর্থক দিকটি হল দীর্ঘদিন ধরে একটি সাজিয়ে তোলা বিবাদ বা বিতর্ক– তার অবসান ঘটানো জরুরি ছিল। তা না হলে দেশের পরিস্থিতি ভাল হত না।

‘দীর্ঘদিন ধরে যে মসজিদ ছিল সেটাকে ভেঙে মন্দির বানানোর যে প্রচেষ্টা এবং রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি, সেই রাজনৈতিক প্রচেষ্টা সার্থক হল রায়ের ফলে। কারণ, মসজিদ নয় মন্দির হবে। এই ধরনের রায় অনেকের মনে একটা বিভাজনের প্রক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ফলে সেদিক থেকে দেখলে আমার মনে হয়েছে নিরর্থক রায়। শীর্ষ আদালতকে সম্মান জানিয়ে আমার যেটুকু মনে হয়েছে আমি সেটাই বললাম’, বলেন তিনি। 

গত শনিবার অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি হিন্দু মামলাকারীকে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে।

অন্যদিকে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। মন্দির বানাতে তিন মাসের মধ্যে ট্রাস্ট বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

ইত্তেফাক/এসআর