বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইউক্রেনের চেয়ে বাইডেনের তদন্তে অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন ট্রাম্প

আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:১৪

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্তের শুনানি প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিষদের তদন্ত কমিটি শুনানিতে নতুন ও ঐতিহাসিক পর্বে প্রবেশ করলো। শুনানিতে এক সাক্ষ্যদাতা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের চেয়ে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। খবর: বিবিসি ও সিএনএনের।

গতকালের শুনানি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এর মাধ্যমে ট্রাম্পের ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের বিষয়টি শঙ্কার মধ্যে পড়লো মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শুনানি টিভিতে দেখেননি। তিনি খুবই ব্যস্ত। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এই কথা বলেন ট্রাম্প।

গতকাল তদন্ত কমিটি ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বিল টেলর এবং ডেপুটি অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইউরোপিয়ান অ্যান্ড ইউরেশিয়ান অ্যাফায়ার্স জর্জ কেন্টসহ তিনজনের সাক্ষ্য নেয়। তাদের তিনজনই এর আগে রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে সাক্ষ্য দিতে এসে ইউক্রেনের সঙ্গে ট্রাম্পের ওই ঘটনাটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

বিল টেলর বুধবার বলেন, একজন কর্মকর্তা তাকে বলেছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের চেয়ে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।

আরো পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ এইডসের চেয়েও ভয়াবহ

তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মার্কিন দূত গর্ডন সন্ডল্যান্ডকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন। এদিকে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি দলের এক বৈঠকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্টকে জোরালোভাবে সমর্থনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বুধবার শুনানি কক্ষে সাংবাদিক, আইনপ্রণেতা এবং অন্যান্য আরো মানুষে ভরা ছিল। টিভিতে দেখেছেন আরো লাখ লাখ মানুষ। ঐতিহাসিক এ শুনানির অধিবেশনের উদ্বোধন করেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রতিনিধি অ্যাডাম শিফ। তিনি প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যানও। গত ২৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ করেন। এতে তিনি বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত না করলে সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দেন। এরপরই সমালোচনা শুরু হয় এবং বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

ইত্তেফাক/বিএএফ