মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রোহিঙ্গা নির্যাতনে তদন্তের অনুমতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের

আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৫৪

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের ব্যাপারে তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকেরা প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই অনুমতি দেওয়া হলো। খবর দ্য গার্ডিয়ান’র। 

বিবৃতিতে হেগের আদালত বলেছে, ‘এটা বিশ্বাস করা যুক্তিযুক্ত যে বিস্তৃতভাবে এবং/অথবা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যা মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’

‘চেম্বার তাই বাংলাদেশ/মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে তদন্তের অনুমতি দিচ্ছে’

২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় ‘বিদ্রোহীদের’ হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান। সেনাবাহিনী সেখানে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ফলে প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ছুটে আসে বাংলাদেশে। 

শুরু থেকেই জাতিসংঘ এ ঘটনাকে জাতিগত নিধন হিসেবে অভিহিত করে আসছে। তবে মিয়ানমার বরাবরই তা অস্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন:  পেঁয়াজের মূল্য বাড়ায় উত্তাল সংসদ
 

চলতি বছরের জুলাইয়ে আইসিসি’র প্রধান প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদা মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত সহিংসতার বিষয়ে তদন্তের আবেদন করার প্রেক্ষিতে এই অনুমতি দেওয়া হলো। বৃহস্পতিবার আইসিসির বিচারকরা সায় দেওয়ায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগের তদন্তে এটাই কোনো আন্তর্জাতিক আদালতের প্রথম উদ্যোগ।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সাধারণত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ইত্যাদি অপরাধের জন্য দায়ীদের অভিযুক্ত করে থাকে। রোম নীতিমালার ভিত্তিতে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আদালত বিচারের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে। এমনকি গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করতে পারে সংস্থাটি। তবে এর নিজস্ব কোনো বাহিনী না থাকায় অভিযুক্তদের ধরতে বা দণ্ড কার্যকর করতে পারে না। এ জন্য তারা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও অপরাপর অন্যান্য রাষ্ট্রকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আহ্বান জানায়। 

আইসিসি এ পর্যন্ত ৩৬ জনকে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন উগান্ডার বিদ্রোহী নেতা জোশেফ কোনি, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা, লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফি ও আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট লরেন্ট জিবাগবো। 

ইত্তেফাক/এসইউ