বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পেট্রলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন খামেনির

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:৫৪

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রবিবার পেট্রলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও পেট্রোলের দাম বাড়ানোকে কেন্দ্র করে দেশটিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। 

খামেনির উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, ‘আমি বিশেষজ্ঞ নই এবং এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কিন্তু তিনটি শাখার প্রধানগণ যদি কোন সিদ্ধান্ত নেন আমি তাকে সমর্থন দেব।’

শুক্রবার রাতে ইরানের হাই কাউন্সিল অব ইকোনমিক কো-অর্ডিনেশন পেট্রলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২ জন মারা গেছে।

পেট্রল থেকে ভর্তুকি উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর শুক্রবার ইরানের পেট্রলের দাম অন্তত শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা দরিদ্রদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করার পরিকল্পনা থেকে পেট্রলের দাম বাড়িয়েছে।

২০১৫ সালে ওয়াশিংটন ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নানারকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে অর্থনৈতিকভাবে বেশ ভুগতে হচ্ছে ইরানকে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা জালানি মজুদ থাকা একটি গুদামে হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে একজন মারা যায়।

সিরজান শহরের এই ঘটনা বাদেও বেহবাহান শহরে একজন মারা গেছে। এছাড়াও রাজধানী তেহরানসহ কেরমানশাহ, ইসফাহান, তাবরিজ, করদজ, শিরাজ, ইয়াজদ, বোশেহর ও সারি শহরে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

অনেক শহরে ক্ষুব্ধ গাড়িচালকরা রাস্তার মাঝখানে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে বা গাড়ি রাস্তায় ফেলে রেখে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছেন।

এ নিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কৌঁসুলি মোহাম্মদ জাফর মোন্তাজেরি 'কিছু উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী'কে দায়ী হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি এমনও বলেন যে বিক্ষোভকারীদের 'দেশের বাইরে'র শক্তির সাথে সম্পৃক্ত।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি শনিবার বলেছেন ৭৫% ইরানি বর্তমানে 'চাপের মুখে' জীবনধারণ করছেন এবং পেট্রলের দাম বাড়ানোর সরকার যে অতিরিক্ত আয় করবে তা ইরানের কোষাগারে না গিয়ে ঐ জনগণের কাছে পৌঁছাবে। সূত্র: বিবিসি।

প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধান নিয়ে এই কাউন্সিল গঠিত।

ইত্তেফাক/এস আর