হংকংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি মানবাধিকার গ্রুপের প্রতিও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। গত সপ্তাহে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের সমর্থন করে এমন একটি বিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষর করার কারণেই চীন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর বিবিসি’র।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সোমবার থেকে মার্কিন সামরিক জাহাজ ও বিমান হংকংয়ে প্রবেশ স্থগিত করেছে। তাছাড়া ভবিষ্যতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভুল সংশোধন এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানাই।’ ‘হংকংয়ের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি এবং চীনের সার্বভৌমত্বকে ধরে রাখতে প্রয়োজনে চীন আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কয়েকটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেইজিং। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফ্রিডম হাউস, ন্যাশনাল এন্ডোমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট।
প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে হুয়া চুনিং বলেন, ‘হংকংয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তারা কিছুটা দায়বদ্ধ। তাই তাদেরকেও এর মাশুল গুণতে হবে।’
আরও পড়ুন: ১০০ কেজি আবর্জনা মিললো মরা তিমির পেটে!
উল্লেখ্য, হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের সমর্থন করে এমন একটি বিলে গত ২৮ নভেম্বর স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বিলে স্বাক্ষরের ফলে ‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট’ নামে নতুন একটি আইন পাশ হয়। নতুন এই আইনের ফলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ বাণিজ্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে হংকংয়ে স্বায়ত্তশাসনের প্রমাণ দেখিয়ে চীনকে প্রতি বছর একবার করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে।
এই আইন পাশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চীন বলে, এই পদক্ষেপ হংকং বিষয়ে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মারাত্মক হস্তক্ষেপ। এটি আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার মৌলিক নিয়মের পরিপন্থী। এ সংক্রান্ত আইন পাস যুক্তরাষ্ট্রের একটি আধিপত্যবাদী পদক্ষেপ।
ইত্তেফাক/এসইউ