রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা নিয়ে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুনানি হতে যাচ্ছে। আর এই শুনানিতে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডে পৌঁছেছেন মিয়ানমারের নেতা এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চি। তারপরে তিনি হেগের দিকে রওনা হন, যেখানে বিশ্ব আদালত অবস্থিত।
রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা ইস্যুতে নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। এই মামলার শুনানি হচ্ছে মঙ্গলবার। শুনানি চলবে তিনদিন।
ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৪ সদস্যের বিচারক প্যানেলের সামনে সু চি কি বলবেন এ নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে ততই পরিষ্কার হচ্ছে তার অবস্থান। কারণ আগামী বছর মিয়ানমারে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সু চি তার কৌশল ঠিক করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে সু চি সেনাদের পক্ষেই ওকালতি করবেন বলে মিয়ানমারের স্থানীয় মিডিয়া ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে।
এদিক রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমর্থনকারী মানবাধিকার সংগঠনগুলো মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি দলের পাশাপাশি সরকার সমর্থকরা বিক্ষোভ করবে।
‘ফ্রি রোহিঙ্গা জোট’ নামের একটি সংগঠন বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ১০টি দেশের ৩০টি সংগঠনকে নিয়ে ‘বয়কট মিয়ানমার অভিযান’ শুরু করছে। মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা, বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
আরো পড়ুন: ভুলে ভরা রাবির সমাবর্তনে দেওয়া সার্টিফিকেট!
আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানিতে গাম্বিয়ার পক্ষে লড়বেন ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত আইনমন্ত্রী আবুবাকর তামবাদাউ।
গাম্বিয়ার এই মন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের খতম করার জন্য সেনাবাহিনী নৃশংসতা শুরু করে। এর ফলে বাধ্য হয়ে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। এদের কাছ থেকে নৃশংসতার যে কাহিনী বিশ্ব শুনেছে তা নিশ্চিত গণহত্যার শামিল।
গাম্বিয়ার এই মন্ত্রীর পরিকল্পনায় রয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের জন্য যাতে বিচারকরা কার্যকর পদক্ষেপ নেন। আর এজন্য তিনি আদালতকে প্রমাণ সংরক্ষণ করতে বলবেন।
ইত্তেফাক/জেডএইচ