‘হাউ টু ভোট’ অর্থাৎ কিভাবে ভোট দেব জানতে চেয়ে গুগলে বারবার সার্চ করছে ব্রিটেনবাসীরা। যুক্তরাজ্যে গুগোল ট্রেন্ড টপ সার্চে বর্তমানে আছে এই তিনটি শব্দ। ১২ ডিসেম্বর ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সেখানকার নাগরিকরা খুঁজে বেড়াচ্ছেন ভোট দেওয়ার নিয়ম কানুন ও স্থান। আর সে কারণেই গুগোল ট্রেন্ডে স্থান করে নিয়েছে শব্দগুলো।
যুক্তরাজ্যের এবারের জাতীয় নির্বাচনকে সবচাইতে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সেখানকার ভোটাররা। নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে দুই ভাগ হয়ে গেছে ব্রিটেনবাসী। মূলত দুই দলের থেকে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রেক্সিট। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আরো একবার মূলত ব্রেক্সিট এর পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট হয়ে যাবে।
১২ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়ে রাত ১০ টায় ভোট শেষ হবে। ২৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত যারা নিবন্ধন করেছেন তারাই ভোট দিতে পারবেন আজ। আর যারা পোস্টাল ভোট দিতে চেয়েছেন তাদেরকেও ২৬ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে নিবন্ধন করতে হয়েছে। যারা করেছেন তাদের ভোট আজ রাত ১০টার মধ্যে গ্রহণ করা হবে। আর যারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন তাদেরকে সকাল ৭টা থেকে ১০ টার মধ্যে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার জন্য ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে জানাতে হয়েছে। তবে জরুরি প্রক্সি ভোট দিতে আজও আবেদন করা যাবে। রাত ১০টায় বুথ ফেরত জরিপের ফল জানা যাবে। আর কাল শুক্রবার ভোটের ফলাফল জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ২০১৯ সালে বিশ্বের সেরা ব্যক্তি ‘গ্রেটা থানবার্গ’
ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটস পার্টির নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা টোরি কিংবা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে জোট করবেন না। এরপর হয়তো লেবার পার্টি সরকার গঠনের চেষ্টা চালাবে। সেক্ষেত্রেও সমস্যা আছে। লিব ডেম নেতা জো সুইনসন বলেছেন, তারা লেবার পার্টির সঙ্গে জোট করতে রাজি, তবে নেতা জেরেমি করবিনকে সরে দাঁড়াতে হবে। যদি তিনি পদত্যাগ না করেন তাহলে তিনি ছোটো দল প্লেইড সিমরু, দ্য গ্রিনস এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে জোট করতে পারেন। তবে এজন্য স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় গণভোটের আয়োজনকে মেনে নিতে হবে করবিনকে। লেবার পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ইইউতেই থেকে যাবে ব্রিটেন। যদিও করবিন এই ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোট করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইত্তেফাক/বিএএফ