শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘দিল্লিতে বাসে আগুন দেয় পুলিশ’, ভিডিও ভাইরাল

আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:২৮

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের এই মুহূর্তে উত্তাল ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। এরই মধ্যে দেশটির পুলিশের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দেশটির সংবাদ মাধ্যমে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালীন পরিস্থিতি যাতে আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেই জন্যে কিছু বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে পুলিশই, এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে।

বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে পুলিশ, এমন দাবির পক্ষে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাসে কেরোসিনের জার থেকে কিছু তরল ছিটিয়ে দিচ্ছে দেশটির পুলিশ কর্মীই।   

রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ দেশটির রাজধানী দিল্লি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। দক্ষিণ দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি অঞ্চলে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতাকারী সহিংস বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধলে এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। 

এরই মাঝে পুলিশের বাসে আগুন দেয়ার ভিডিও দেশটির সামাজিক মাধ্যমে  ভাইরাল হয়।  ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ কর্মী নিজেই একটি ফাঁকা বাসে কেরোসিনের জার থেকে কোনও তরল ছুঁড়ছেন। 

ভিডিওতে আরো দেখা যায়, বেশ কয়েকটি বাস ও দু'চাকার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াসহ অনেকেই অভিযোগ করছেন, পুলিশেরই কিছু কর্মী এই ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তবে পুলিশের তরফ থেকে এই ধরণের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এক টুইট বার্তায় লিখেছেন,  এই ছবিটি দেখুন ... দেখুন কে বা কারা বাসে এবং গাড়িতে আগুন দিচ্ছে ... এই ছবিটি বিজেপির করুণ রাজনীতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ ... বিজেপি নেতারা এর প্রতিক্রিয়ায় কী বলবেন? 

তবে দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএস রান্ধওয়া এনডিটিভিকে জানান, আপনাকে অবশ্যই পুরো ভিডিওটি দেখতে হবে। বাসের বাইরে আগুন লেগেছে ... পুলিশ ওই পাত্রে জল নিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে।

দেশটিতে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকে এর  প্রতিবাদে  বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুরের একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ রয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। বিক্ষোভের জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।

এমন পরিস্থিতি ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। 



 

 

ইত্তেফাক/এসআর