শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৪২

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা মামলায় জুনায়েদ হাফিজ (৩৩) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার মুলতানের একটি আদালত এই দণ্ডাদেশ দেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য পোস্ট করায় ২০১৩ সালের মার্চ মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খবর: বিবিসি। 

জুনায়েদ হাফিজের প্রথম আইনজীবী ছিলেন রশিদ রেহমান। হাফিজের পক্ষে মামলা লড়তে রাজি হওয়ার পর ২০১৪ সালে রশিদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গ্রেফতারের পর কারাগারে একাধিকবার অন্য বন্দীদের হামলার শিকার হন হাফিজ। পরে তাকে একটি সেলে একাকী অবস্থায় বন্দী রাখা হয়। বর্তমানে মুলতানের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন হাফিজ। সেই কারাগারেই রায় ঘোষণা করেন আদালত।

দ্য ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলায় হাফিজের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়। তিনটি অভিযোগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন আদালত। একটি অভিযোগে হাফিজকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেকটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অপর একটি অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ছয় লাখ রুপি জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: গত এক দশকে বিবিসির সর্বাধিক পঠিত ১০ সংবাদ

রায় ঘোষণার পর হাফিজের বর্তমান আইনজীবী বলেছেন, এই রায় খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।

পাকিস্তানে ফিরে হাফিজ মুলতানের বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। গ্রেফতার হওয়ার সময় সেখানেই কর্মরত ছিলেন তিনি। পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন প্রায় ৪০ ব্যক্তি। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই আইনে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।

ইত্তেফাক/বিএএফ