মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গ্রেটা থানবার্গকে নিয়ে উদ্বিগ্ন তার বাবা

আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:২৭

জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী এক আলোচিত নাম গ্রেটা থানবার্গ। ২০১৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে জলয়বায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাম লেখানো স্কুল ছাত্রী গ্রেটা পরিবেশ আন্দোলনকে দিয়েছেন অন্য এক রূপ । তার ডাকে সাড়া দিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীসহ লাখ লাখ মানুষ জলবায়ু আন্দোলনে শরিক হয়েছে। পরিবেশ আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্বের স্বীকৃতিও পেয়েছেন গ্রেটা। যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনের ২০১৯ সালের ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন। পেয়েছেন বিকল্প নোবেল ‘রাইট লাইভলিহুড’ পুরস্কার। তবে গ্রেটার এতো অর্জনের পরও মেয়েকে নিয়ে উদ্বিগ্ন তার বাবা। বিবিসিকে একথা জানিয়েছেন গ্রেটার বাবা। 

সম্প্রতি বিবিসি রেডিও ফোরস টুডের পক্ষ থেকে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রেটার বাবা সোভান্তে থানবার্গ মেয়ের পরিবেশ আন্দোলনে জড়িয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে বর্তমান অবস্থা সবকিছুই বিস্তারিত জানিয়েছেন। 

গ্রেটার বাবা জানান, পরিবেশ আন্দোলনে তার মেয়ের সামনে থেকে আন্দোলনে অংশ নেওয়াটা প্রথমে মোটেই ভালোভাবে নেননি তিনি। গ্রেটাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে লাখ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনে অংশ নিলেও মেয়ের স্কুল বন্ধ করে আন্দোলনে অংশ নেওয়াকে ‘খারাপ সিদ্ধান্ত’ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন তিনি। তবে এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে গ্রেটা বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠেছে বলে বেজায় খুশি তার বাবা। 

সোভান্তে থানবার্গ জানান, আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আগে গ্রেটা তিন-চার বছর ধরে বিষণ্ণতায় ভুগেছিল। সে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল, স্কুলেও যেত না । এক পর্যায়ে খাওয়া-দাওয়াও ছেড়ে দিয়েছিল। এমন সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা এবং গবেষণা গ্রেটাকে পাল্টে দেয়। সে এ ব্যাপারে খুব আগ্রহী হয়ে ওঠে। 

আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও আক্রমণাত্মক হতে হবে : কিম

জলবায়ুর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য বাবা-মার বিরুদ্ধে ভণ্ডামির অভিযোগ ও নানা প্রশ্ন করতে শুরু করে গ্রেটা। গ্রেটার ভাবাবেগের সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা-মা আরও বেশি পরিবেশ বান্ধব আচরণ শুরু করলে গ্রেটা আরো উৎসাহী হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আন্দোলনে যোগদান, যার ফলাফল আজকের গ্রেটা। 

তবে মেয়ের হতাশা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এবং এতো সাফল্যের পরও উদ্বিগ্ন সোভান্তে থানবার্গ। তিনি জানান, স্কুল বাদ দিয়ে আন্দোলনে জড়িয়ে সমালোচনার শিকার হওয়া, ভুয়া খবর ছড়ানো, কাছের মানুষজনের অতিরঞ্জিত কিছু বলা, নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে তিনি খু্বই উদ্বিগ্ন। এ বিষয়গুলো সামলাতে গিয়ে তার মেয়ে হোঁচট খায় কি’না সে ব্যাপারে তিনি সবসময় উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে সকল সমালোচনা যে ভালো ভাবেই তার মেয়ে সামলাচ্ছে সেটা জানাতে ভুলেননি সোভান্তে। 

ইত্তেফাক/এসইউ