শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শীতে নাকাল উত্তর ভারত

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কানপুর ও সর্বোচ্চে দিল্লির শত বছরের রেকর্ড 

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:১৮

প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। উত্তর প্রদেশের কানপুর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার শতবছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। অন্যদিকে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় শত বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে দিল্লি। এ অবস্থায় বিমান ও ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। খবর বিবিসি ও এনডিটিভি’র

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের কানপুরে মঙ্গলবার সকাল সাতটায় তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির চেয়ে কম রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ১৯১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিন দিন ধরে কানপুরের তাপমাত্রা আশংকাজনকভাবে কমছে। তাছাড়া উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের অনেক জায়গায় ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে গেছে পাঞ্জাব, চণ্ডীগড় ও পশ্চিম রাজস্থান।

অন্যদিকে সোমবার দিল্লিতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শতবছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। ওই দিন সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি নিচে। ১৯০১ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু করার পর থেকে এটাই ছিলো সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিক দিয়ে সবচেয়ে কম। 

আরও পড়ুন: চলতি বছর ১৫ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছে ভারত

এ অবস্থায় দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। ফলে মানুষ কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। দিল্লির গৃহহীনদের জন্য ২শ’টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এদিকে ঘন কুয়াশার জেরে সোমবার দিল্লিগামী ২০টি বিমানকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বাতিল করা হয় ৪টি ফ্লাইট। পাঁচ শতাধিক বিমানের ফ্লাইট দেরিতে ছাড়ে। তাছাড়া দিল্লিগামী ৩০টি ট্রেনের শিডিউলেও বিপর্যয়ও ঘটে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে বায়ু দূষণের মাত্রা কমতে পারে। তবে শীতের তীব্রতা শীঘ্রই কমছে না। 

ইত্তেফাক/এসইউ