বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিজেপির নির্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ!

আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ২১:১৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ দলীয় রাজ্য প্রধান হিসেবে যতটা পরিচিত তার চেয়ে অনেক বেশি পরিচিত বেফাঁস মন্তব্যের জন্য। গত কয়েক মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্যে রাজ্যের রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনিই রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে। শনিবার সেসব মন্তব্য আরও এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, দল চায় বলেই তিনি এসব বিতর্কিত মন্তব্য করেন। 

শনিবার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে নিজের কার্যকলাপ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি যা চায় আমি সেটাই করি, সেটাই বলি। আমি তো মাধ্যম। আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে সেও একই কাজ করবে। আমি সেই কাজটা ভাল করে করতে চাই।’ 

তার এসব বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাদেরকে এক হাত নেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘বিশিষ্টজনেরা কী বলেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার কাছে দলই গুরুত্বপূর্ণ। বিশিষ্টজনদের কাছে রাজনীতিবিদদের যাওয়ার কথা। আর এখানে তারাই উল্টো রাজনীতিবিদদের কথায় রাস্তায় নেমে পড়েন। তাই আমার কাছে তারা নির্বোধ।’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতির এমন মন্তব্যের পর তার নিন্দায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বাংলার কলঙ্ক। তিনি ঔদ্ধত্যের সীমা ছাড়াচ্ছেন। এর জবাব বাংলার মানুষই দেবেন।’ রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘এই ধরনের কথার প্রতিক্রিয়া দিতে রুচিতে বাধে। দিলীপবাবুর দল দেশ জুড়ে যে লুম্পেন রাজনীতির আমদানি করেছে, তিনি তো তারই বাহক।’

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স দিচ্ছে ইরান

উল্লেখ্য, সিএএ ও এনআরসি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারা, তাদের জন্ম-পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে নানা মন্তব্য করে গোটা দেশেই সমালোচনার শিকার হন দিলীপ ঘোষ। এসব মন্তব্যের পর ধারণা করা হচ্ছিল, দিলীপ বুঝি এবার পদ হারাতে বসেছেন। তবে গত সপ্তাহে টানা দ্বিতীয়বারের মত রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপকে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত তার আজকের মন্তব্যকে সত্য প্রমাণ করে।  

ইত্তেফাক/এসইউ