হরমুজ প্রণালীতে নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার ও ৩০০ সেনা পাঠাবে দক্ষিণ কোরিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সিউলের মিত্র ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে চাপের মুখে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর এএফপি ও রয়টার্স’র
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিউল পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরসহ সোমালিয়া উপকূলে সক্রিয় তাদের জলদস্যুবিরোধী সামরিক ইউনিটের মোতায়েন এলাকা ‘সাময়িকভাবে সম্প্রসারণের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলো হরমুজ প্রণালীর সাথে যুক্ত রয়েছে। দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছে, এটি মার্কিন নৌ মিশনের অংশ হবে না। তবে তথ্য বিনিময়ের জন্য দুই যোগাযোগ কর্মকর্তাকে মার্কিন সদরদপ্তরে পাঠানো হবে।
বিশ্ব তেল বাণিজ্যের জন্য কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীতে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা চালানোর জন্য ইরানকে দায়ী করছে পশ্চিমা দেশগুলো। আর এ প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ মিশন মোতায়েন রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অনুরোধ রাখতে গিয়ে সিউল উভয় সংকটে পড়েছে। কেননা, ১৯৬০ সাল থেকে তেহরানের সাথে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং গত বছর পর্যন্ত ইরান ছিল প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে দূর্বল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান তেল সরবরাহকারী দেশগুলোর অন্যতম।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সাময়িকভাবে চিওনহি সামরিক শাখার মোতায়েন সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। এর ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ও তেলবাহী যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, চিওনহি সামরিক শাখা তাদের মিশন অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি জোটের সামরিক বাহিনীকেও সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: ‘বলিউডের কারণে পাকিস্তানে যৌন অপরাধ বাড়ছে’
দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হরমুজ প্রণালিতে সামরিক বাহিনীর দস্যুবিরোধী শাখার সদস্য মোতায়েনের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানকে জানানো হয়েছে। আফ্রিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উপসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বন্দরে দস্যুবিরোধী চিওনহি শাখা মোতায়েন রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এডেন বন্দরে ২০০৯ সাল থেকে মোতায়েন রয়েছে সিউলের এই বাহিনী।