মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সহিংসতার টার্গেট হচ্ছে মুসলিমরাই : মার্কিন কমিশন

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০২:৪৭

ভারত সফরে থাকাকালীন দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি দেশে ফিরে যেতেই গোটা ঘটনায় ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হলো আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)। তাদের অভিযোগ, বেছে বেছে মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। অথচ সব দেখেশুনেও নীরব আছে মোদীর সরকার। তারা বলেছে, নৃশংস ও লাগামছাড়া সহিংসতা রুখে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তারা।

তবে মার্কিন ওই সংগঠনের অভিযোগ খারিজ করে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর। দফতরের মুখপাত্র রবীশ কুমার টুইটারে বলেন, ‘ইউএসসিআইআরএফ-এর অভিযোগ একেবারেই সঠিক নয়। মনে হচ্ছে, বিষয়টির রাজনীতিকরণই ওদের উদ্দেশ্য। সহিংসতা রুখে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা আমাদের সংস্থাগুলো।’

বুধবার ইউএসসিআইআরএফ-এর ওয়েবসাইটে ভারতের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর শেষ হতেই প্রাণঘাতী দাঙ্গায় তেতে উঠেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি। মুসলিমদের নিশানা করে উন্মত্ত জনতা হামলা চালাচ্ছে বলে জানতে পেরেছি আমরা। তাতে এখন পর্যন্ত অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন। বেশ কিছু মসজিদ জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে বলেও জানতে পেরেছি আমরা। এমন পরিস্থিতিতে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন বহু মুসলিম। গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীনই এই অশান্তি দানা বেঁধেছে।’

ইউএসসিআইআরএফ-এর কমিশনার অনুরিমা ভার্গব বলেন, ‘‘দিল্লিজুড়ে যে নৃশংস এবং লাগামছাড়া সহিংসতা চলেছে, তা চলতে দেয়া যায় না। সমস্ত নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত ভারত সরকারের। অথচ তার বদলে খবর আসছে, মুসলিমদের উপর হামলা রুখতে কোনো ভূমিকাই নেয়নি দিল্লি পুলিশ। নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।’

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ইউএসসিআইআরএফ-এর চেয়ারপার্সন টোনি পারকিন্স বলেছেন, ‘দিল্লিতে যে সহিংসতা চলছে, যেভাবে মুসলিমদের উপর হামলা এবং তাদের বাড়ি, দোকান এবং ধর্মীয় স্থান জ্বালিয়ে দেয়ার খবর আসছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিককে নিরাপত্তা দেয়াই দায়িত্বশীল সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। তাই মুসলিমদের এবং যাঁরা যাঁরা হামলার শিকার হয়েছেন তাদের সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারত সরকারকে পদক্ষেপ করতে আর্জি জানাচ্ছি আমরা।’

ইত্তেফাক/আরকেজি