বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনায় বন্ধ জাদুঘর থেকে ৪৭ কোটি টাকা মূল্যের এক চিত্র চুরি!

আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২০, ১৪:৫৬

করোনা ভাইরাসের কারনে বন্ধ রয়েছে পৃথিবীর সমস্ত বিখ্যাত জাদুঘর বা স্মৃতিসৌধ। আর এই সুযোগেই বন্ধ মিউজিয়াম থেকে চুরি গেল শিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যান গগের এক মূল্যবান চিত্র। করোনা ভাইরাসের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বর্তমানে বন্ধ থাকা ওই ডাচ জাদুঘর থেকে ৫ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের ওই ছবি চুরি হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় ৪৭ কোটি টাকা।

দ্য গার্ডিয়ান সূত্রে গেছে, রবিবার রাত্রি ৩.১৫ নাগাদ লরেনের সিঙ্গার লরেন জাদুঘরের সামনের কাঁচের দরজা ভেঙে চোররা ভ্যান গগের ‘পার্সোনেজ গার্ডেন অ্যাট নিউনেন ইন স্প্রিং' ছবিটি চুরি করে নিয়ে যায়। তবে, আশা করা হচ্ছে অন্য কোনও শিল্প চুরি যায়নি। চুরির সঙ্গে সঙ্গেই বার্গ্লার অ্যালার্ম বাজলেও পুলিশ কর্মকর্তারা আসার আগেই চোররা পালিয়ে যায়।

ইউটিউবে প্রচারিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জাদুঘরের পরিচালক জ্যান রুডল্ফ ডি লর্ম বলেন যে, গ্রনিঞ্জার মিউজিয়াম থেকে ঋণে নেওয়া হয় ওই চিত্রকর্মটি। সেই বিখ্যাত ছবিটিই চুরি যাওয়ায় তিনি ‘মারাত্মক হতাশ'! ১৬৭ বছর আগে যে দিন জন্মেছিলেন ভ্যান গগ, অর্থাৎ ৩০ মার্চই চিত্রকর্মটি চুরি গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ছুটির মেয়াদ আরও বাড়বে: প্রধানমন্ত্রী

ডি লর্ম বলেন, ‘আমাদের অন্যতম সেরা চিত্রশিল্পীর একটি সুন্দর এবং অসামান্য চিত্রকর্ম চুরি গিয়েছে। অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে পেতেই হবে ছবিটি।’ করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধের জাতীয় পদক্ষেপ হিসেবেই ১২ মার্চ জাদুঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

উত্তর ডাচ শহর গ্রনিঞ্জেনে অবস্থিত গ্রনিঞ্জার জাদুঘর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে: ‘১৮৮৪ সালে আঁকা হয় ওই ছবিটি। তেলরঙে আঁকা ওই ছবিটি গ্রনিঞ্জার জাদুঘরের সংগ্রহে থাকা ভ্যান গগের একমাত্র চিত্রকর্ম।

১৮৮৩ থেকে ১৮৮৪ সালের মধ্যে ভ্যান গগ নুয়েনেন শহরে শিল্পীর বাবা মায়ের সঙ্গে ছিলেন। সেই সময়েই তিনি এই ছবির সিরিজগুলি আঁকেন। সিঙ্গার লরেন জাদুঘরের জেনারেল ম্যানেজার এভার্ট ভ্যান ওস জানান জাদুঘরের সুরক্ষা ব্যবস্থায় আরও কড়া নজর দেওয়া হয়েছে। 

এক বিবৃতিতে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাতীয় অপরাধ তদন্ত বিভাগের শিল্প ডাকাতি বিশেষজ্ঞরা তদন্তে সহায়তা করবেন। চিত্রকর্মটি ইন্টারপোলের চুরি যাওয়া চিত্রকর্মের আন্তর্জাতিক তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/বিএএফ