শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খারাপ আবহাওয়ায় থমকে গেলো স্পেস এক্স মিশন

আপডেট : ২৮ মে ২০২০, ১১:২১

খারাপ আবহাওয়ার কারণে মহাকাশে নভোচারী পাঠাতে পারলো না  মার্কিন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা স্পেস এক্স ।  বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে  অ্যাস্ট্রো-বেনকেন ও অ্যাস্ট্রো-হার্লে নামের নাসার দুই নভোচারীকে মহাকাশে পাঠানোর কথা ছিল স্পেস এক্স'র। তবে বৃষ্টির কারণে সেটি আর হয়ে ওঠেনি। আগামী শনিবার  ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে  স্পেস এক্স'র এই রকেট আবার উৎক্ষেপণ করা হবে বলে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে বলা  হয়েছে। 

 গত ৯ বছর ধরে নাসার নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার মহাকাশযান ব্যবহার করেছে।  প্রায় এক দশক পর নিজেদের মাটি থেকে  নিজদের  রকেটে চড়ে মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল মার্কিন নভোচারীদের কাছে। আর এই দৃশ্য দেখার জন্য ফ্লোরিডায় এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

তবে শনিবারও রকেট উৎক্ষেপণের দিন ট্রাম্প ফ্লোরিডায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এতদিন নাসার রকেট দিয়ে মহাকাশে নভোচারী প্রেরণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার নাসার পাশপাশি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা স্পেস এক্স মহাকাশে মানুষ পাঠিয়ে সেই ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে। তবে এই যাত্রায় স্পেস এক্সকে সহায়তা করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। 

 এই বিষয়ে নাসা প্রধান জিম ব্রিডেনস্টাইন বলেন, মিশন ব্যর্থ হয়নি। খারাপ আবহাওয়ার জন্য বুধবারের মহাকাশ যাত্রা পিছিয়ে দিতে হয়েছে। আগামী শনিবার, ৩০ মে স্থানীয় সময় বিকেল ৪ তা ২২ মিনিট নাগাদ কেনেডি স্পেস সেন্টারেরই ৩৯-এ লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশে উড়ে যাবে স্পেস এক্স সেন্টারের রকেট ফ্যালকন ৯ । 

স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্প তথা স্পেস এক্সের পথ চলা সেই ২০০২ সাল থেকে। প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। ক্যালোফোর্নিয়ার এই বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসক্রাফ্ট এবং রকেট বানানোর জন্য বিখ্যাত। মহাকাশযান তৈরি করলেও, মহাকাশ অভিযানে রকেট পাঠানোর সুযোগ কয়েকবারই হয়েছে স্পেস এক্স সেন্টারের। প্রথমবার ২০০৮ সালে পৃথিবীর কক্ষে ফ্যালকন ১ রকেট পাঠিয়েছিল স্পেস এক্স। সেটাই ছিলপ্রথম মহাকাশ মিশন। ২০১০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট মহাকাশে পাঠিয়েছিল তারা। এরপরে ২০১৫,২০১৭ সালে ফ্যালকন ৯ রকেট পাক খেয়েছে পৃথিবীর কক্ষে। ২০১১ সালে প্রথমবার নভশ্চর নিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নামে স্পেস এক্সের ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট। তারপর থেকে দীর্ঘ সময়ের বিরতি। ৯ বছর পরে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফের আইএসএস-এ নভোচারী পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দেয় স্পেস এক্স।  

এ নিয়ে স্পেস এক্স প্রধান ইলন মাস্ক বলেছেন, আমরা গর্বিত এই অভিযানের অংশ হতে পারছি। স্পেসক্রাফ্টে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ নেই। শুধুমাত্র খারাপ আবহাওয়ার জন্য যাত্রা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও কিছুদিনের অপেক্ষা করতে হবে।  

ইত্তেফাক/এআর