শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শ্রমিক স্পেশালের নামে চলছে করোনা স্পেশাল ট্রেন: মমতা

আপডেট : ২৯ মে ২০২০, ১৯:৪২

শ্রমিক স্পেশালের নামে আসলে করোনা স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ মন্তব্য করেন।

রীতিমতো ক্ষুব্ধস্বরে তিনি বলেন, "শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন। সেখানে তো আদৌ কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। একটা সিটে তিন জন করে আসছেন, গাদাগাদি অবস্থা। তাহলে যদি ট্রেনে এতগুলো মানুষ গাদাগাদি করে যেতে পারে তবে কেন চায়ের দোকান, মন্দির, অফিস, জুটমিল খুলবে না? সেগুলোও তাহলে খুলুক"।

মমতা জানান, "পশ্চিমবঙ্গ গত দু'মাসে কোভিড- ১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সফল হয়েছিল। এখন বাইরে থেকে পরিযায়ীরা রাজ্যে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে।"

এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১ জুন থেকে মন্দির-মসজিদ-গির্জা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে আগামী ৮ জুন থেকে সকল অফিস চালু হবে বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে মন্দির মসজিদ গির্জা খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ সেখানে ঢুকতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১ জুন থেকে রাজ্যের সকল চা এবং জুটমিল খুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আগামী ৮ জুনের পর থেকে রাজ্যের সমস্ত অফিস পুরোদমে খুলে দেওয়া হবে। আর ১ জুন সকাল ১০ টা থেকেই রাজ্যের মন্দির-মসজিদ-গির্জা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ সেখানে ঢুকতে পারবেন না বলেও পরিষ্কার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘হংকংয়ের বিশেষ সুবিধা বন্ধ করলে উভয় সংকটে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র’

করোনা ভাইরাসকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই রোগ থেকে বাঁচতে সকলকে কড়া নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অনেক জায়গাতেই মানুষ নিয়ম মানছেন না, তাই করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই ৬-৮ ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যিক। সেই সঙ্গে মাস্ক স্যানিটাইজেশন এবং হাত ধোয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ইত্তেফাক/আরআই