বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিমান চলাচলে বাধা হতে পারে পঙ্গপাল, ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা!

আপডেট : ২৯ মে ২০২০, ২২:৩৩

করোনা ভাইরাসের মহামারিতে পঙ্গপাল হয়ে উঠেছে আরও এক আতঙ্কের নাম। ভারতে ঝাঁকে ঝাঁকে হানা দিতে শুরু করেছে পঙ্গপাল।  ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়ছে, বিমান চলাচলে পঙ্গপাল বাধা হতে পারে এবং সেই সঙ্গে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। 

শুক্রবার সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিসিএ) বিমানের উত্তরণ আর অবতরণ নিয়ে সতর্কতা জানিয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিসিএ জানিয়েছে, “সাধারণত পঙ্গপাল নিম্ন স্তরে পাওয়া যায় এবং তাই অবতরণে এবং উড়ান দেওয়ার সময় বিমানের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে।" 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান পঙ্গপালের ঝাঁকের মধ্যে দিয়ে উড়ে গেলে ইঞ্জিন ইনলেট, এয়ার কন্ডিশনার প্যাক ইনলেট ইত্যাদির মতো জায়গা প্রচুর পরিমাণে ক্ষতির মুখে পড়বে। পঙ্গপালের ঝাঁক উড়ে যাওয়ার সময় সেন্সর এবং যন্ত্রপাতিকেও আঘাত করতে পারে, যার ফলে ভুল রিডিং উঠতে পারে, বিশেষত অবিশ্বাস্য বায়ুর গতি এবং অল্টিমিটারের সূচক অক্ষম হয়ে যেতে পারে।

ডিজিসিএ জানিয়েছে, যদিও পঙ্গপালগুলো আকারে ছোট, তবে উইন্ডশিল্ডের উপরে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল উড়ে এলে পাইলটের ফরোয়ার্ড ভিশন সমস্যায় পড়তে পারে যা অবতরণ এবং উড়ান দেওয়ার সময় মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। ওয়াইপার ব্যবহার করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে ফলে পাইলটকে উইন্ডশিল্ড থেকে পঙ্গপালদের সরাতে ওয়াইপার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই দিকটি বিবেচনা করা উচিত।

পঙ্গপালের ঝাঁক দেখা গেলে বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারীরা পাইলটদের জানাতে পারেন কিনা জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, বড় ঝাঁক একটি বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে ভিজ্যুয়াল গ্রাউন্ড যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সংস্থাটি জানায়, যে কোনও পঙ্গপালের ঝাঁক দেখা গেলে বিমান চলাচল এড়ানো উচিত। একমাত্র ভালো দিকটা হল পঙ্গপাল রাতে ওড়ে না, এরফলে আরও ভালভাবে দেখা যাবে আর সতর্ক থাকা যাবে।

আরও পড়ুন: শ্রমিক স্পেশালের নামে চলছে করোনা স্পেশাল ট্রেন: মমতা

পঙ্গপাল সনাক্ত করতে এবং কীটনাশক স্প্রে করার জন্য ড্রোন, ট্রাক্টর এবং গাড়ি পাঠানো হয়েছে। পঙ্গপাল ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০,০০০ হেক্টর ফসলি জমি ধ্বংস করেছে। দুই রাজ্যেই ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে পঙ্গপাল এবং করোনা ভাইরাস লকডাউনের মাঝেই এই সমস্যা নিয়ে বিধ্বস্ত দেশটির বহু কৃষকও।

ইত্তেফাক/আরআই