কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। কারফিউ উপেক্ষা করেও রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। এর মধ্যে মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের সেন্ট জন পল ন্যাশনাল চার্চ যান ট্রাম্প। এনিয়ে ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন ওয়াশিংটনের প্রধান যাজক উইল্টন ডি গ্রেগরি।
ট্রাম্পের চার্চে যাওয়াকে 'কারসাজি' বলে উল্লেখ করেছেন গ্রেগরি।
এর আগে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এতে সেন্ট জন চার্চের ধর্মীয় নীতির লঙ্ঘন ঘটেছে। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে চার্চে আসার ঘটনারও নিন্দা জানান এই আর্চ বিশপ।
এছাড়া গত সোমবার বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে সেন্ট জনস চার্চে যান ট্রাম্প। তার জন্য রাস্তা ফাকা করতে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে
দেন ন্যাশনাল গার্ড মিলিটারি পুলিশ, সিক্রেট সার্ভিস, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পুলিশ।
সোমবারের ওই চার্চে যাওয়া নিয়ে ওয়াশিংটনের বিশপ রেভারেন্ড ম্যারিয়ান এডগার বুড্ডে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে তিনি ‘চরম ক্ষুব্ধ’।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বিনা অনুমতিতে চার্চে যান। তিনি আমাদের ঐতিহ্য বিরোধী কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি শুধুমাত্র বাইবেল হাতে নেন। যা যিশুর শিক্ষার বিরোধী। তিনি আমাদের পবিত্র স্থানের আধ্যাত্মিক প্রতীকগুলোর অপব্যবহার করেছেন।’
উল্লেখ্য, ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ। এরপরই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে।
প্রকাশ্যে শহরের রাস্তায় ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধে ফ্লয়েডকে হত্যা করে ৪৪ বছর বয়সী পুলিশ অফিসার দেরেক। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি, এনবিসি নিউজ।
ইত্তেফাক/এস আর