শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গোয়েন্দাদের মদদে হামলা চালানো হয় করাচির স্টক এক্সচেঞ্জে!

আপডেট : ০২ জুলাই ২০২০, ১৫:২৭

 পাকিস্তানের করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে গত সোমবার বন্দুকধারীরা হামলা চালায় ।  ওইদিনের হামলায় চার হামলাকারীসহ নিহত হয় নয় জন।  মাত্র আট মিনিটে চার বন্দুকধারীদের দমন করতে সক্ষম হয় পাকিস্তানের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। হামলাটির দায় ইতোমধ্যে স্বীকার করে নিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। তবে  ঘটনার সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই হামলার পেছনে জড়িতে থাকতে পারে। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির আত্মঘাতী দল মাজিদ ব্রিগেড করাচিতে হামলা চালায়। এই হামলার সঙ্গে ২০১৮ সালের নভেম্বরে চীনের দূতাবাসের হামলার মিল পাওয়া যায়। এই দুই ঘটনাতেই  ভবনে প্রবেশের আগেই হামলাকারীদের দমন করতে সক্ষম হয় পাকিস্তানের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।   

  বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করলেও তারা তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতি করতে পারেননি। এছাড়া কাউকে জিম্মি করে উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টাও করেননি তারা। এই দুটি হামলাতে ব্যর্থ হয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আবার এই দুটি হামলার পরপরই আফগানিস্তান এবং ভারতকে দোষারোপ করেছে পাকিস্তান।  ২০২০ সালে চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষের পরই পাকিস্তানে এই হামলা চালান হলো। ২০১৮ সালেও পাকিস্তানে  চীনের দূতাবাসে হামলা পর ভারতের ওপর অপবাদ দিয়েছিলো পাকিস্তান।  

এছাড়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার পরিকল্পনাতেও ফুটে উঠেছে সাজানো নাটকের পরিকল্পনা। করাচির যে ভবনটিতে হামলা করা হয় সেটির যে কোনো পাশ দিয়ে প্রবেশ করতে পারতো হামলাকারীরা। তা না করে তারা মূল ফটক দিয়ে ভবনটিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এছাড়া হামকারীদের ভারী অস্ত্র থাকলেও তাদের কাছে কোনো বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছিল না।  অনেক গোলা বারুদ থাকলেও তারা সেগুলোর ব্যবহার করেননি। 

 পাকিস্তানে গত সাত দশক ধরে মাত্র একটি গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকার পূর্ণ সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল। দেশটিতে সেনবাহিনীর ক্যু একটি সাধারণ ঘটনা। আর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দাদের মাধ্যমে দেশটিতে অনেক ন্যাক্কারজনক ঘটনাই ঘটেছে।  

ইত্তেফাক/এআর