শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অক্টোবরেই আসতে পারে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২০, ০২:৪২

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতা এখন জোরেশোরে চলছে। কোন কোম্পানি আগে ভ্যাকসিন আনবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কীভাবে, কখন ভ্যাকসিন আনা হবে—তা ঠিক করতে ভ্যাকসিনের নিরাপদ দিক ও কার্যকারিতার মতো নানা বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ বিজ্ঞানীরা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটিকেই অগ্রগামী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর দামও থাকবে নাগালের মধ্যে, এমনটাই জানানো হয়েছে ।

অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ফলাফল বা কার্যকারিতার বিষয়টি আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ জানা যাবে। করোনা ভাইরাস থেকে ভ্যাকসিনটি সুরক্ষা দিতে পারবে কি না, এ পরীক্ষার ফলের ওপর তা নির্ভর করছে। ইকোনমিস্ট বলছে, পরীক্ষায় একবার সফলতার প্রমাণ পাওয়া গেলেই নিয়ন্ত্রকেরা জরুরি ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে দেবে। অর্থাত্ অক্টোবরের মধ্যেই যারা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগী, তারা ভ্যাকসিন পাবেন। খবর দ্য ইকোনমিস্টের।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি আন্তর্জাতিকভাবে দ্রুত ও বিস্তৃত আকারে সরবরাহের জন্য সাপ্লই চেইন তৈরি করছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, পরিপূর্ণ অনুমোদন পেতে ভ্যাকসিনটির একাধিক পরীক্ষা লাগবে। আগামী বছরের শুরুতেই এর পূর্ণ অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে।

একই ধরনের ভাইরাসের ক্ষেত্রে আগে যে ওষুধ কার্যকর হয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করেই অক্সফোর্ডের গবেষকেরা অধ্যাপক সারাহ গিলবার্টের নেতৃত্বে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেন। তারা দ্রুত বড় আকারে ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ শুরু করেছেন। যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কেট বিনহ্যাম বলেছেন, ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে অক্সফোর্ড। অন্য ভ্যাকসিন তাদের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়ে যেতে পারে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছেন, ইতিমধ্যে ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির আদেশ পেয়েছেন তারা। প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম এক কাপ কফির দামের সমান হতে পারে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকল সারিওট বলেন, তাদের ভ্যাকসিন এক বছর পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে এর ফল জানা যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবরেই ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করা যাবে।

 

ইত্তেফাক/আরআই