শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনা ভাইরাসের আসল উৎসের সন্ধান পাওয়ার দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২০, ১১:০৭

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে জর্জরিত পুরো বিশ্ব।  কোথা থেকে, কী ভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল পুরো দুনিয়ায়  তা জানার জন্য এর উৎস খোঁজার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন একাধিক দেশের শতাধিক বিজ্ঞানী ও গবেষক। তবে এবার মার্কিন বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাসের আসল উৎসের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন। তারা জানিয়েছেন, বাদুড় থেকেই ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।

এ পর্যন্ত পৃথিবীতে করোনার সমগোত্রীয় যে সমস্ত ভয়ানক ছোঁয়াচে ভাইরাস রোগ ছড়িয়েছে, তার জন্য মূলত দায়ী বাদুড়। তাই করোনার ক্ষেত্রেও প্রথমিকভাবে বাদুড়ের উপরের গবেষণা চালাতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ বা অস্ট্রেলিয়ায় মারবার্গে নিপা ও হেন্ড্রা-র মতো যে সমস্ত ভয়ঙ্কর ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল সে ক্ষেত্রেও ভাইরাসের উৎস ও ধারক ছিল এই স্তন্যপায়ী প্রাণিটি।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাদুড়ের শরীরই হল বিভিন্ন রকম ভয়ঙ্কর ভাইরাসের আঁতুড়। এদের শরীরে ইবোলা, রেবিস, সার্স, মার্স-এর মতো ভয়ঙ্কর সব ভাইরাসের বাস। এগুলির মধ্যে সার্স ও মার্স ভাইরাস সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সমগোত্রীয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

 যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইনফেক্সাস ডিজিজ ডায়নামিক্সের একদল বিজ্ঞানী করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছিলেন। তিনটি আলাদা পদ্ধতি অনুসরণ করে করোনাভাইরাসের উৎস খোঁজার চেষ্টা চালিয়েছেন। এই গবেষণার পর তাদের মত, বহুযুগ ধরেই বাদুড়ের শরীরে ছিল করোনাভাইরাস! পরে তা মানুষের শরীরে কোনও ভাবে সংক্রমিত হয়েছে।

এই গবেষণা দলের প্রধান ড. ম্যাকিয়েজ বনি জানিয়েছেন, এই গবেষণায় দেখা গেছে হর্সশু প্রজাতীর বাদুড়দের মধ্যেই মূলত করোনার জীবাণুর অস্থিত্বের প্রমাণ মিলেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, বহুযুগ ধরেই হর্সশু প্রজাতীর বাদুড়ের শরীরে এই ভাইরাস ছিল। এশিয়ায় এই ধরনের বাদুড়ই সবচেয়ে বেশি রয়েছে। তবে ঠিক কী ভাবে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হল, তা জানতে এখনও গবেষণার প্রয়োজন। এনডিটিভি, জিনিউজ।

ইত্তেফাক/এআর