বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারতের গোর্খা সৈন্য নিয়ে নেপালে বিতর্ক

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২০, ১৮:০৯

ভারতের সেনাবাহিনীতে বর্তমানে ৪০ হাজার নেপালি গোর্খা সৈন্য রয়েছে। এ সব সৈন্য নিয়ে বিতর্ক চাঙ্গা  হয়ে উঠছে।

ইতোমধ্যে এসব সৈন্যদের যারা বাড়িতে এসে ছুটি কাটাচ্ছিলেন, তাদের লাদাখ সীমান্তে সংকটের পর দ্রুত তলব করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার অনলাইনে এক আলোচনায় নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি বলেন, 'ভারত ও ব্রিটেনের সেনাবাহিনীতে গোর্খাদের নিয়োগের বিষয়টি ইতিহাসের অংশ হিসেবে নেপাল পেয়েছে। একসময় বিদেশ যাওয়ার জন্য নেপালি যুবকদের অন্যতম রাস্তা ছিল এটি। কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঐ চুক্তির অনেক কিছু এখন অপ্রাসঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।'

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, গোর্খা সৈন্য নিয়োগের ৭০ বছরের পুরনো চুক্তিটি ব্যাপকভাবে সংশোধন করার একটি প্রস্তাব গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনকে জানিয়েছে নেপাল। কিন্তু ব্রিটেন এখনো সাড়া দেয়নি। ফলে ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কাঠমান্ডুতে সিনিয়র সাংবাদিক এবং নেপালের বৈদেশিক নীতির বিশ্লেষক কমল দেব ভট্টরাই বিবিসি বাংলাকে বলেন, 'যখনই চীন-ভারত বা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ হয়, তখন রণাঙ্গনে গোর্খা সৈন্যদের নিয়ে নেপালিদের মধ্যে উদ্বেগ শুরু হয়। কথা শুরু হয় আদৌ আর নেপালিদের ভারতের সেনাবাহিনীতে পাঠানো বন্ধের সময় এসেছে কি না।'

ভারতের সেনাবাহিনীতে গোর্খা নিয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে নেপালি সরকারের ওপর জনমতের চাপ কতটুকু সে বিষয়ে কমল দেব ভট্টরাই বলেন, 'এখনও খুব বেশি চাপ তৈরি না হলেও চীন ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ যদি হয় তাহলে গোর্খা ইস্যু নিয়ে বিতর্ক আরো বাড়বে।'

তবে যত বিতর্কই হোক না কেন, ভারতের সেনাবাহিনীতে গোর্খা সৈন্য নিয়োগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে দেখছেন না ভট্টরাই।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালে সেনাবাহিনীতে যে বেতন-ভাতা ও পেনশন সৈন্যরা পায়, ভারতীয় বাহিনীতে যোগ দিলে তার চারগুণ বেশি তারা পায়। নেপালে এখন প্রায় দেড় লাখ মানুষ আছেন যারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর পেনশনভোগী।

ইত্তেফাক/জেডএইচ