অমানবিকতার চূড়ান্ত নিদর্শন মিললো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার মহেশপুর গ্রামে। শনিবার ভোরে ওই গ্রামে মারা যান নরেন্দ্রনাথ কর্মকার (৬৫) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক । গত পাঁচদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। এলাকার চিকিৎসককে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি করোনা আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই মারা যান।
এরপরেই এলাকায় রটে যায় করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ওই শিক্ষক। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। ফলে পাড়া-প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়-স্বজনরা কেউ এগিয়ে আসেনি। সৎকারের উপায় না পাওয়ায় মৃতের স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী কামারুজ্জামানের শরণাপন্ন হন। সব কথা শুনে কামারুজ্জামান এবং তার সঙ্গীরা মৃৎ শিক্ষকের বাড়ি থেকে মৃতদেহ বের করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ দিন কামারুজ্জামানের সঙ্গে ছিলেন ইসমাইল, একরামুল, ববি আরো তিন মুসলিম যুবক।
মৃত শিক্ষকের ছেলে অঞ্জন কর্মকার বলেন, কামরুজ্জামান না থাকলে আমাদের খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতো। তাঁর চেষ্টাতেই বাবার সৎকার করতে পারলাম। উনার কাছে আমরা ঋণী।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের জেলাতে হিন্দু-মুসলিমের কোনও বিভেদ নেই। সকলে একসাথে বসবাস করি। নিউজ১৮।
ইত্তেফাক/এআর