মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তুতেনখামেন স্মৃতি জাদুঘরে কী থাকছে

আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:৫৪

মিশরের বিখ্যাত ফারাও তুতেনখামেন। তিনি ছিলেন মিশরের সব থেকে অল্পবয়সি ফারাও। মাত্র ৯ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন তুতেনখামেন। নানা কারণে মিশরসহ বিশ্বের অনেক ইতিহাসবিদ তুতেনখামেন সম্পর্কে বেশ কৌতূহলী। ১৯২৩ সালে সর্বপ্রথম একদল গবেষক তুতেনখামেনের নামাঙ্কিত পিরামিডের মধ্যে প্রবেশ করে মিশরীয় এই ফারাওয়ের অক্ষত ‘টুম্ব’ আবিষ্কার করেন। এরপর আরো বেশ কয়েকবার তার পিরামিডের মধ্যে প্রবেশ করেছেন গবেষকরা। উদ্দেশ্য একটাই—তার সম্পর্কে অজানা সব তথ্য জোগাড় করা। গবেষকদের সংগ্রহ করা সেই সব তথ্য-উপাত্ত আর পিরামিডের মধ্যে সমাধিস্থ সময়ের যাবতীয় পার্থিব জিনিস, ধন-রত্ন নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে তুতেনখামেনের স্মৃতি জাদুঘর।

৩ হাজার ৩০০ বছর আগের সেই ইতিহাসকেই হয়তো পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে অত্যাধুনিক এই স্মৃতি জাদুঘরে। মিশরের ইজিপশিয়ান জাদুঘরে দেশটির বিখ্যাত ফারাওদের অনেক স্মৃতি সংরক্ষিত রয়েছে, সেখানে রয়েছে তুতেনখামেনের স্মৃতিও। ধারণা করা হচ্ছে, ইজিপশিয়ান জাদুঘর থেকেও অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে এই জাদুঘর। ৫ লাখ স্কয়ার মিটার এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই জাদুঘরে থাকবে তুতেনখামেন এবং তার পূর্বপুরুষ ফারাওদের ব্যবহার্য সব তৈজসপত্র, গয়না, ধন-রত্ন ইত্যাদি।তুতেনখামেনের পিরামিডের এক কিলোমিটারের মধ্যে এই জাদুঘর গড়ে তোলার অন্যতম কারণ গত কয়েক শতক ধরে মিশরসহ বিশ্বব্যাপী তুতেনখামেন কৌতূহল।

বিশ্ববাসীর কাছে তুতেনখামেনকে বিশেষ এক পরিচিতি এনে দিয়েছে ৩ হাজার ৩০০ বছর আগে স্বর্ণ দিয়ে তৈরি ২৪ পাউন্ডের তুতেনখামেনের মুখের এক প্রতিকৃতি। মিশরের ফারাওদের কথা উঠলে যে কারোর চোখেই ভেসে ওঠে তার সেই প্রতিকৃতি। মিশরের প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং সাবেক পুরাকীর্তি মন্ত্রী জাহি হাওয়াস বলেন, মিশরের একটি আট বছরের শিশুর মনেও জায়গা করে আছেন তুতেনখামেন। তার সম্পর্কে মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। এ কারণেই তার পিরামিডের কাছাকাছি নির্মাণ করা হচ্ছে তুতেনখামেন ও তার পূর্বপুরুষদের স্মৃতির বাড়ি।

জাদুঘরের স্থাপনাটি নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে কংক্রিট ও কাচ দিয়ে। আট বছর ধরে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। বেশ কয়েকবার উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। জাদুঘরের নির্মাণকাজ একপ্রকার শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরই খুলে দেওয়া হতে পারে জাপান থেকে ঋণ নিয়ে নির্মিত জাদুঘরটি। ২০১১ সালে আরব বসন্তের পর থেকে মিশরে পর্যটকে যে ভাটা পড়েছিল সে খরাও কেটে যাবে বলে আশা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।

—সিএনএন