বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইউরোপে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে

আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২০, ০৮:৪৬

বিধিনিষেধ শিথিল করে অর্থনীতি ধীরে ধীরে সচল করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ফের কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ইউরোপের অনেক দেশই এখন বিভিন্ন শহর ও এলাকায় মাস্ক বাধ্যতামূলক করাসহ নতুন নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করছে।

জার্মানি ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার বুধবার বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দেশটিতে তিন মাসের মধ্যে এদিনই সবচেয়ে বেশি রোগীর সন্ধান মিলল। বাসিন্দাদের অনেকে বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটি কাটিয়ে ফেরায় সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বগতি খানিকটা প্রত্যাশিতই ছিল, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মহামারি শুরুর পর থেকে করোনা ভাইরাস এ পর্যন্ত জার্মানির ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

একই দিন ফ্রান্সে আড়াই হাজারের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে মে মাসে লকডাউন তুলে নেওয়ার পর একদিনে আর কখনো এত রোগীর দেখা মেলেনি। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্পেনে মঙ্গলবার নতুন ১ হাজার ৪১৮ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। স্পেনে এরই মধ্যে শনাক্ত রোগী ৩ লাখ ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ সংখ্যা পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে বেলজিয়াম বুধবার থেকে রাজধানী ব্রাসেলসের সব এলাকায় সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নির্দেশনা দিয়েছে। তবে ১২ বছরের নিচের কাউকে এ নির্দেশনা মানতে হবে না। ব্রাসেলসে এর আগে কেবল জনসমাগম হয় এমন জায়গা ও শপিং সেন্টারের মতো স্থানগুলোতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে প্রতিদিন প্রতি ১০ লাখ বাসিন্দা অনুপাতে ৫০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর রাজধানীর সব উন্মুক্ত স্থানে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাসিন্দারা এ নির্দেশনা মানছে কি না, তা দেখতে পুলিশের টহলও বাড়ানো হয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যাশবোর্ড অনুযায়ী, বেলজিয়ামে এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসে দেশটিতে মৃত্যুও ৯ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে।

বুধবার গ্রিস একদিনে ২৬২ নতুন রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে। মহামারি শুরুর পর দেশটিতে এর আগে একদিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি। গ্রিসে এখন পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ১৭৭, মৃত্যু হয়েছে ২১৬ জনের। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় পর্যটনের ভরা মৌসুমেও দেশটির কর্তৃপক্ষ রেস্তোরাঁ, বারের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ এবং কিছু বলকান দেশের নাগরিকদের গ্রিসে প্রবেশও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি