প্রাচীন ভারত মানেই সনাতন হিন্দুত্ব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, ভারতের নতুন শিক্ষানীতিতে কেবল সনাতন হিন্দুত্বকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। উপেক্ষা করা হয়েছে লোকায়ত-চার্বাক কিংবা মুসলিম পরম্পরা।
শনিবার সন্ধ্যায় এক ওয়েবিনারে ভারতের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির তীব্র সমালোচনা করেন দেশটির নোবেলজয়ী এই বাঙালি। খবর আনন্দবাজারের।
এদিন প্রতীচী ট্রাস্টের উদ্যোগে আলোচনাচক্রে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, প্রাচীন ভারতের আদর্শ বলতে শুধু সনাতন শিক্ষার কথা মনে রাখবো, কিন্তু ভারতের সামগ্রিক ইতিহাসের ধারা উপেক্ষা করবো, এটা ঠিক নয়!
অমর্ত্য সেন বলেন, প্রাচীন ভারতে সনাতন ধর্ম যেমন ছিল, তেমনই লোকায়ত বা চার্বাকের পরম্পরাও ছিল। তার মধ্যে ঈশ্বরহীনতা, ধর্মহীনতা বা ধর্মবিরোধিতা এবং সম্পূর্ণ যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণও গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের আদর্শের প্রতি একনিষ্ঠ হওয়া কখনোই সেই আদর্শের একটি ধারার প্রতি একনিষ্ঠ থাকা নয়।
জানা যায়, প্রায় ৩ যুগ পর সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ১৯৮৬ সালে গৃহীত শিক্ষানীতির পরিবর্তে নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে। গত ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা এই খসড়া গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনও ভাষা চাপিয়ে না দেওয়ার পরামর্শ থাকলেও নয়া শিক্ষানীতিতে সনাতন সংস্কৃত ভাষাকে উৎসাহিত করার কথা বলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় মুসলিমদের উগ্রপন্থি বানাতে বিপুল অর্থ ঢালছে তুরস্ক!
ভারতে মুসলিম প্রভাবের কথাও মনে করিয়ে দিয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, এ দেশে মুসলিম প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ। আবার প্রাচীন হিন্দু ভারতেও গোটা দেশ, বিশেষত বাংলা বা আসাম একরকম ছিল না।
ইত্তেফাক/আরআই