মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রাখায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মানসিক চিকিৎসা করানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিকে এরদোগানের এমন মন্তব্যের পর তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ফ্রান্স সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এমনটি জানিয়েছে।
সম্প্রতি ফ্রান্সে মহানবী ক্লাসে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) -এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনকারী শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে শিরশ্ছেদ করে হত্যার করা হয়। এই ঘটনার জন্য ইসলামপন্থী উগ্রবাদীদের দায়ী করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এই সপ্তাহের শুরুতে স্যামুয়েল প্যাটিকে সম্মান জানাতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, আমরা কার্টুন প্রদর্শন বন্ধ করবো না। ধর্ম হিসেবে ইসলাম আজ বিশ্বজুড়ে সংকটে রয়েছে। শুধুমাত্র যে আমাদের দেশেই যে এই ধরনের ঘটনা চোখে পড়ছে তা কিন্তু নয়। তবে আমরা কোনোভাবেই ফ্রান্সের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিতে কাউকে আঘাত হানতে দেব না। নতুন করে অভিযান চালিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও পাবলিক সেক্টর থেকে ধর্মকে সরিয়ে দেওয়া হবে। নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য যেসব স্কুল ও মসজিদ বিদেশে থেকে টাকা পায় তাদের ওপর কড়া নজরদারি চলবে।
ম্যাক্রোঁর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে শনিবার এরদোগান বলেন, ইসলাম সংকটে বলেন ম্যাক্রোঁ যে শুধু ধর্মকে অশ্রদ্ধা করেছেন তাই নয়, খোলাখুলি উসকানিও দিয়েছেন। ম্যাক্রোঁ এসব কথা বলে তার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। ইসলামের কাঠামো নিয়ে কথা বলার তিনি কে?
গত ১৬ অক্টোবর প্য়ারিসের রাস্তায় শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে 'আল্লাহু আকবর' বলে হত্যা করেছিল এক তরুণ। কারণ, ওই শিক্ষক ক্লাসে মহানবীর কার্টুন দেখিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। শিক্ষকের ওপর হামলাকারী আবদৌলখ নামের ওই তরুণ ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।
ইত্তেফাক/এআর