শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হংকংয়ের বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব না দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যকে সতর্ক বার্তা চীনের

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৩৮

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন হংকংয়ের বাসিন্দাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেওয়ার পরিকল্পনাটি নিশ্চিত করার পরে ব্রিটেনকে অবিলম্বে তার ভুল সংশোধন করার সতর্ক বার্তা দেয় চীন। শুক্রবারে হংকংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই সতর্ক বার্তাটি দেয়া হয়। বেইজিং প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশে একটি কঠোর জাতীয় সুরক্ষা আইন জারি করে জুলাইয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

সমালোচকরা বলছেন, ১৯৯৭ সালে হংকংকে ফেরত দেওয়ার সময় চীন এই নাগরিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করেছিল। ১৫০ বছর ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই যুক্তরাজ্য, হংকং-কে চীনের কাছে ফেরত দেয়। তখন থেকে এ অঞ্চলে 'এক দেশ, দুই নীতি' পদ্ধতির আওতায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে আসছে। বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হংকংকে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে চীন। 

বেইজিং এর আগে ইউকেকে "দেশীয় ইস্যুতে" হস্তক্ষেপ না করার জন্য সতর্ক করেছিল । হংকংয়ে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আগ বাড়িয়ে কথা বলার প্রেক্ষিতে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। 

যুক্তরাজ্য সরকারের বিশ্লেষকরা অনুমান করেছেন যে জানুয়ারিতে নতুন ভিসা পাওয়া গেলে দশ মিলিয়ন মানুষ ইউকেতে থাকার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে।
তবে সমালোচকরা বলছেন যে নতুন ভিসা আইন তরুণ-গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের সুরক্ষা দেবে না যারা ১৯৯৭ এর পরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তারা মূলত সুরক্ষা আইন দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিল।

এর আগে ৩০ জুন চীনের পার্লামেন্ট হংকং-এর বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন পাস করে। ওইদিনই এতে স্বাক্ষর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আইনটির মাধ্যমে হংকংয়ের স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা।২৮ মে স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ে সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করার প্রস্তাব অনুমোদন করে চীনের পার্লামেন্ট।

এদিকে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, হংকংয়ের (বিএনও) পাসপোর্ট-ধারীরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জানুয়ারি থেকে বিশেষ ইউকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।

বিএনও হোল্ডারদের ইতিমধ্যে ছয় মাসের জন্য ইউকে ভিসায়-স্বাভাবিক ভাবে ঘোরাফেরার অধিকার রয়েছে। তবে নতুন নীতিতে তাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য যুক্তরাজ্যে থাকতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ নাগরিক হতে পারবেন তারা।

ইত্তেফাক/এএইচপি