করোনায় আক্রান্ত একজন পিৎজা দোকানের কর্মী মিথ্যা বলায় লকডাউনে যেতে হয়েছে পুরো সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে। গত শুক্রবার অনেকটা বাধ্য এই কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাউথ অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের প্রধান স্টিভেন মার্শাল বলেছেন, রাজ্যটিকে ১৭ লাখ মানুষকে ছয়দিনের লকডাউনে যেতে হতো না, যদি পিৎজা দোকানের ওই কর্মী সত্য বলতেন।
জানা গেছে, সংক্রমণের উৎস খুঁজতে গিয়ে অ্যাডিলেড শহরের উডভাইল পিৎজা বারকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা।ঐ পিৎজা বার থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া এক ব্যক্তি জানান যে তিনি অল্প সময়ের জন্য সেখানে যেতেন পিৎজা আনতে । এমনটি জানার পর অস্ট্রেলিয়ান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ধারণা করতে শুরু করেন যে এই করোনা ভাইরাসের স্ট্রেনগুলো অত্যন্ত সংক্রামক । আর এই ভেবেই দ্রুত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যাতে আর কারো মধ্যে করোনার সংক্রমণ না হয়। । পরে জানা যায় যে, শুধু পিৎজা নিতে যেতেন দাবি করা এক ব্যক্তি আসলে সেখানকার কর্মী। তিনি সেখানে নিয়মিত কাজ করতেন।
এ নিয়ে মার্শাল বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দেখতে পেয়েছেন উডভাইল পিৎজা দোকানের সঙ্গে সম্পর্কিত এক ব্যক্তি করোনা শনাক্তকরণ টিমকে ক্রমাগত ভুলপথে পরিচালিত করেছেন। আমরা এখন জানি, তারা মিথ্যা বলেছে।
জানা গেছে, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ছয়দিন শেষ হওয়ার আগেই শনিবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন তুলে নেয়া হচ্ছে সাউথ অস্ট্রেলিয়ায়।
ইত্তেফাক/এআর