ভারতীয় সরকারের কেন্দ্রীয় সড়ক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে আসন্ন জেলা উন্নয়ন কাউন্সিল (ডিডিসি) নির্বাচনকে ব্যাহত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান। যে কারণে জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটাতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তারা।
শুক্রবার এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ভি কে সিং আরও বলেন, ওই হামলায় প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছিল। তাদের এ কাজ ছিল মূলত নির্বাচন ব্যাহত করার একটি প্রচেষ্টা মাত্র। তাদের এই প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানাই।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চার জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ। ভারতের দাবি ওই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন যায়েশ-ই-মোহাম্মদের সদস্যরা।
Jammu and Kashmir: Security tightened in Nagrota as an encounter is underway near Ban toll plaza. Visuals from Jammu-Srinagar National Highway. pic.twitter.com/JxfERDPmUw
— ANI (@ANI) November 19, 2020
পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সাবেক সেনা প্রধান ভি কে সিং বলেছেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে কোনো রকম অনুপ্রবেশের চেষ্টাকে সফল হতে দেওয়া হবে না। নাগরোটায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তানকে একটি চরম শিক্ষা দিয়েছে। ভারতের কোনো অঞ্চলে পাকিস্তানের অনুপ্রবেশে মেনে নেওয়া হবে না।
এসময় কংগ্রেস, পিডিপি বা এনসির মতো দলগুলোকে সুবিধাবাদী ও দেশ-বিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই আছেন এরা শুধু সুবিধাবাদী। এদের কারো কোনো অস্তিত্ব নেই। ভারত বিরোধিতা পরিহার করে মানুষের কল্যাণে কাজ করুন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের নির্মূল প্রয়োজন: ভারত
জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটায় চার সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে নিহতের একদিন পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং অন্যদের সঙ্গে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মোদি টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান ভিত্তিক যায়েশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসীরা দেশে বড় ধরণের একটি ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ইত্তেফাক/আরআই