মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট ও সংঘাত নিয়ে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এসময় নেইপিয়াদুর সামনে থাকা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় সূচিকে অভিনন্দন জানান বরিস। তিনি বলেন, এ নির্বাচন হতে পারে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পথে পরিবর্তনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন রাজ্যে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে এবং বেসামরিক লোকেরা ক্রমবর্ধমান সংঘাতের কবলে পড়ছে। দেশটিকে আন্তর্জাতিক আদালতের অস্থায়ী ব্যবস্থা সংক্রান্ত রায় মেনে চলতে হবে। রোহিঙ্গারা এখনও মৌলিক অধিকার এবং মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। এক লাখ ২৮ হাজার রোহিঙ্গা এখনও নিজ দেশে শিবিরের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং অবাধে চলাচল এমনকি চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সুযোগও তাদের নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক এবং জাতিগত সশস্ত্র উভয় গ্রুপ দ্বারা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হেফাজতে মৃত্যু, গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া ও যৌন সহিংসতা পরিচালনার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার জন্য মিয়ানমারের দুই উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে যুক্তরাজ্য। এপ্রিলে ২৬ রাজনৈতিক বন্দি এবং ৮০০ রোহিঙ্গাসহ ২৪ হাজার ৮৯৬ বন্দিকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি । তা সত্ত্বেও সরকার এবং সেনাবাহিনী মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করতে দমনমূলক আইন ব্যবহার করে চলেছে।
ইত্তেফাক/টিআর