শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাইডেনকে কেন অভিনন্দন জানাননি পুতিন?

আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০৪:১২

যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন পরাজয় মেনে নেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু এবার জো বাইডেন জেতার দুই সপ্তাহ পরও তাকে অভিনন্দন জানাননি। এ নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনার মধ্যেই পুতিন কেন তার দেশ বাইডেনকে অভিনন্দন জানাতে প্রস্তুত নয় তা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির

‘নষ্ট সম্পর্ক নতুন করে নষ্ট হয় না’

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, নির্বাচনের ফল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যে দ্বন্দ্ব চলছে তার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতে চান। রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া রিয়া নভোস্কি পুতিনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এর পেছনে এমন কোনো ষড়যন্ত্র নেই যে আমরা অমুককে পছন্দ করি আর তমুককে অপছন্দ করি। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আইনি লড়াই শেষ হওয়ার পর তিনি অবশ্যই বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাবেন। পুতিন বলেন, দ্রুত অভিনন্দন পাঠানো বা না পাঠানোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক নির্ভর করে না। নষ্ট সম্পর্ক নতুন করে নষ্ট হয় না। সম্পর্ক ইতিমধ্যেই নষ্ট। পুতিন আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতির মধ্যেই অনেক গলদ রয়েছে। তাই অন্য দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

পুতিনের বাইডেন সমস্যা

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে হবেন বা না হবেন তাতে রাশিয়ার কোনো মাথাব্যথা নেই বলে যে বার্তা পুতিন রবিবার দিতে চেয়েছেন, তার পেছনে কতটা সত্যতা রয়েছে তা নিয়ে অনেক পর্যবেক্ষকের মনে সন্দেহ রয়েছে। মস্কোতে বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, বাইডেনকে অভিনন্দন জানানো নিয়ে গড়িমসির অন্যতম প্রধান কারণ হয়তো নির্বাচনের ফল পুতিনের মনঃপুত হয়নি। অধিকাংশ পশ্চিমা বিশ্লেষকের ধারণাও সেরকমই।

আরও পড়ুন: নাতির দায় দাদুর ঘাড়ে, ৫ম শ্রেণির শিশুর সঙ্গে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

লন্ডনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রধান রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফিলিপ স্টিভেন লিখেছেন, হোয়াইট হাউজ থেকে ট্রাম্পের বিদায় ক্রেমলিনের জন্য যে উদ্বেগের তা নিয়ে সন্দেহ নেই। ট্রাম্প ছিলেন পুতিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রশংসাকারী। এটা ঠিক যে ২০১৬ সালের পরও মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কে তেমন উন্নতি হয়নি। বরং ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার ওপর কয়েক দফায় নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে চুক্তি নবায়নে অনীহা দেখিয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে পুতিনকে নিয়ে সরাসরি কখনোই কোনো বিরূপ মন্তব্য ট্রাম্প করেননি। বদলে একাধিকবার তিনি পুতিনের বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করেছেন। আবার বাইডেনও যে পুতিনকে খুব বেশি পছন্দ করেন তাও নয়। এর ইঙ্গিত গত ১০ বছরে তার কথায় বারবার প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার কথিত হস্তক্ষেপের পর ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে পুতিন বিরোধিতা চরম আকার নিয়েছে। এ বছরের মার্চে ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি সাময়িকীতে সাক্ষাত্কারে পুতিনকে ‘দুর্বৃত্ত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন বাইডেন।

ইত্তেফাক/এসি