গত ১৫ জুন সীমান্ত এলাকা পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে এ পর্যন্ত তিন দফায় মোট ২২০টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে মঙ্গলবার ৪৩টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভারত সরকারের এমন পদক্ষেপে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন সরকার।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রশাসনের অভিযোগ, চাইনিজ মোবাইল অ্যাপস নিষিদ্ধ করতে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত দিচ্ছে ভারত সরকার।
দেশটিতে যতগুলো অ্যাপস নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার বেশির ভাগই চীনা অ্যাপস।
ভারতে বিজেপি সরকারের অ্যাপস নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার চীন সরকারের মুখপাত্র শি রং বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত চীন সংশ্লিষ্ট যে মোবাইল অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করেছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি। আমরা আশা করছি, ভারত তার আচরণ বদলে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং বৈষম্যহীন ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ভারতের এই আচরণ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) নির্ধারিত নীতির পরিপন্থী।
তবে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারায় ওই মোবাইল অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় ৬ মাস পর যুক্তরাষ্ট্রে ফের মৃত্যুর রেকর্ড
তারা আরও জানায়, ওই অ্যাপগুলির ব্যবহারে জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব বিপদের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার’। এর ফলে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, সম্প্রতি যে ৪৩টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মধ্য রয়েছে আলি সাপ্লায়ার্স, আলিবাবা ওয়ার্কবেঞ্চ, বেটার লিভিং, আলি প্লে ক্যাশিয়ার। অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
ইত্তেফাক/আরআই