পাকিস্তানে তৃতীয় লিঙ্গের প্রথম আইনজীবী নিশা রাও

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের আইনজীবী হিসেবে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন নিশা রাও। সম্প্রতি নিশা কালো কোট পরিধান করে মক্কেলের খোঁজে করাচির সিটি কোর্টে হাজির হন। এর মধ্য দিয়েই ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠলেন আইনজীবী নিশা রাও। খবর দ্য উইক ও রয়টার্সের
সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয় প্রদান করে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই এখনো যৌন নিপীড়নের শিকার হন এবং বিয়ে বাড়িতে নেচে-গেয়ে কিংবা রাস্তায় ভিক্ষা করে জীবন চালায়। লাহোরের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া নিশা চাননি তার জীবন এভাবেই পরিচালিত হোক। সমাজের মানুষের কটু কথার ভয়ে ১৮ বছর বয়সেই নিশাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল পরিবার। এরপর তৃতীয় লিঙ্গের আরো দুই জনের সঙ্গে করাচি এসে অন্য হিজড়াদের কাছে আশ্রয় নেন। অনেকেই তাকে রাস্তায় ভিক্ষা করতে বা যৌন পেশায় কাজ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি ভিক্ষা করে পাওয়া অর্থ দিয়ে একটি নৈশ কলেজে ভর্তি হন। কয়েক বছরের চেষ্টায় সেখান থেকে ?তিনি আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন।
চলতি বছরের শুরুতেই করাচি বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে যান। নিশা বলেন, ইতিহাস সৃষ্টি করতে পেরে তিনি গর্বিত। তার হাতে এখন অর্ধশত মামলা আছে এবং একই সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি এনজিওর হয়েও কাজ করছেন। পাকিস্তানে এক সময় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ‘অচ্ছুত’ হিসেবে দেখা হতো। এমনকি এখনো কিছু কিছু জায়গায় এই অবস্থা আছ। তবে ধীরে ধীরে সেটির পরিবর্তন হচ্ছে। ২০১৮ সালে দেশটির পার্লামেন্টে তাদের অধিকার সুরক্ষায় একটি আইন পাশ করে সরকার।