শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রেমিকের সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে সম্মতি দিলেন জাপানের ক্রাউন প্রিন্স

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৩৫

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রেমিকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন জাপানের ক্রাউন প্রিন্স আকিশিনো। দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা এই বিয়ের অনুমোদন দিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

রাজকন্যা মাকো ২০১৭ সালে অ-রাজকীয় ব্যক্তি কেই কোমুরোর সঙ্গে বাগদানের ঘোষণা দেওয়ার এক বছর পর ২০১৮ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তখন কোমুরোর মায়ের সঙ্গে তার সাবেক বাগদত্তার আর্থিক বিতর্কের খবর সামনে আসলে বিয়ের অনুমোদন স্থগিত করে রাজপরিবার। চলতি মাসের শুরুতে ২৯ বছর বয়সী রাজকন্যা মাকো এক বিবৃতিতে বিয়ের কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।

জাপানের রাজা নারুহিতোর ছোট ভাই ক্রাউন প্রিন্স আকিশিনো রবিবার এক ঘোষণায় বলেন, ‘আমি তাদের বিয়েতে সম্মতি দিয়েছি। আমি মনে করি বাবা হিসেবে তারা যা চাচ্ছে তাতে সম্মতি দেওয়া জরুরি। বিয়ের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। আশা করি, বিয়েতে অনেক মানুষ অংশ নেবে। অনেক বড় উদযাপন হবে। তবে তার আগে কুমোরোর মাকে অবশ্যই অমীমাংসিত আর্থিক বিতর্কের বিষয়টি সমাধান করতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্তে অধিকাংশ মানুষ খুশি নয়। রাজকন্যা মাকো সচেতনভাবেই জানে, তার বিয়ের পরিকল্পনায় মানুষের পর্যাপ্ত সমর্থন নেই। এই বিয়েতে অনেক লোককে বুঝানো এবং উদযাপনের বিষয় আছে। এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করা জরুরি।’

জাপানের রাজপরিবারের নিয়ম অনুসারে, বিয়ের পরপরই মাকো তার রাজকীয় উপাধি হারাবেন। তাকে রাজপরিবার ছেড়ে চলে যেতে হবে। স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতে হবে রাজপরিবার থেকে দূরে কোনো স্থানে। তবে রাজকন্যা এককালীন বড় অঙ্কের অর্থ পাবেন, যা নিজেদের ভরণপোষণের কাজে লাগাতে পারবেন। তাকে সাধারণ নাগরিকদের মতো ভোট দিতে হবে এবং কর পরিশোধ করতে হবে। আর এই দম্পতির সন্তানেরাও রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবে না। অবশ্য এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৫ সালে সম্রাট আকিহিতোর মেয়ে সায়াকো সাধারণ একজনকে বিয়ে করে রাজপরিবার ছেড়ে চলে যান।