গণতন্ত্র মানুষের অধিকার ও সমতা বজায় রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট দল চাইনীজ কমিউনিস্ট দল (সিসিপি) এর ধারেকাছেও নেই। তারা নিজেদের মর্যাদা রক্ষার্থে চীনা নাগরিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করছে। সরকারের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে তারা স্বাধীনভাবে কোনোকিছু বলতে বা প্রকাশ করতে পারে না। যদি কেও সেই দুঃসাহস দেখায় তাহলে কঠোরভাবে তা দমন করা হয়।
গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কিছু বিতর্কের সাক্ষী হয়েছে চীন। এরে জন্যে তাদের কড়া সমালোচনার মুখেও পড়তেও হয়েছে। এ প্রসঙ্গে চীনা বিশেষজ্ঞ সারাহ কুক বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চীন একমাত্র যা করতে পারে তা হলো তাদের দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু প্রদর্শন করা বা প্রচার করা। ইতোমধ্যে তারা সে পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে। গত বছর চীনে করোনা পরিস্থিতির খবর বিশ্ববাসী পেলেও ধীরে ধীরে তা কমে এসেছে। ইন্টারনেটে সে সম্পর্কে কোনো চীনা নাগরিক কথা বললেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সংবাদকর্মীরাও এর থেকে নিস্তার পাননি।
করোনা মহামারির মধ্যে চীনা সরকার দেশটির ইন্টারনেট ব্যবস্থায় কড়া সেন্সরশীপ আরোপ করেছে। সেইসঙ্গে মুক্তচিন্তা লেখক, মানবাধিকার ওয়েবসাইটগুলোকে রাখা হয়েছে কড়া নজরদারিতে। যার কারণে চীনা সরকারের বিপক্ষে তারা চাইলেও কিছু প্রকাশ করতে পারছে না।
ইত্তেফাক/টিআর