বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অস্ট্রেলিয়ায় সেবা বন্ধের হুমকি গুগলের

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৫১

মুনাফার ভাগ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়ার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় সার্চ ইঞ্জিন সেবা বন্ধের হুমকি দিয়েছে গুগল। অস্ট্রেলিয়া সরকারের ঐতিহাসিক এই আইন বাস্তবায়িত হলে সংবাদ কনটেন্টের জন্য দেশটির প্রকাশকদেরও লাভের ভাগ দিতে বাধ্য থাকবে গুগল, ফেসবুকসহ অন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো, যারা এ ধরনের কনটেন্ট প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে মুনাফা করে।  

গুগল বলছে, এ ধরনের আইন করলে তা অস্ট্রেলিয়ায় তাদের সেবাকে বাধাগ্রস্ত করবে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, তার দেশের আইনপ্রণেতারা হুমকিতে পিছু পটবেন না। এ আইন হলে গুগল ও ফেসবুককে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে বসে কনটেন্টের মূল্য নির্ধারণের জন্য আলোচনায় আসতে হবে। গুগল অস্ট্রেলিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেল সিলভা শুক্রবার সিনেটের শুনানিতে বলেছেন, যে খসড়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটাই যদি আইন হিসেবে পাস হয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় গুগল সার্চ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় তাদের থাকবে না।

অস্ট্রেলিয়ার আইনপ্রণেতারা গুগলের ওই বক্তব্যকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ এবং ‘গণতন্ত্রের ওপর করপোরেট দাদাগিরি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, এ বছরই পার্লামেন্টে আইনটি পাস করার বিষয়ে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। অস্ট্রেলিয়ায় কী করা যাবে, সেই নিয়ম আমাদের পার্লামেন্টই ঠিক করে দেয়। যারা সেটা মেনে কাজ করতে আগ্রহী, তাদের আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু কোনো হুমকিতে আমরা নড়ব না।’

আরও পড়ুন: গুগল ম্যাপে আপনার বাড়ি, অফিস, দোকান যুক্ত করবেন যেভাবে

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মত অস্ট্রেলিয়াতেও রয়েছে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের একচ্ছত্র আধিপত্য। দেশটির সরকারের ভাষায়, এটি এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জরুরি সেবার মত হয়ে উঠেছে। আর এই সেবার বাজারে গুগলের তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।  এখন সার্চে আসা সংবাদ কনটেন্ট মানুষ পড়লে সেখান থেকে গুগল যেহেতু লাভ করছে, সেহেতু সেই লাভের একটি ন্যায্য ভাগ তাদের সংবাদ প্রকাশকদেরও দেওয়া উচিৎ বলে মনে করছে অস্ট্রেলিয়র সরকার। আর গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী গণমাধ্যম যেহেতু জরুরি, সেহেতু অস্ট্রেলিয়া সরকার সাংবাদিকতার জন্যও সহায়তা করাকে দায়িত্ব বলে মনে করছে।

ইত্তেফাক/এআর