পরিবেশকে বর্জ্যমুক্ত করার উদ্দেশ্যে আবর্জনা দিয়ে শিল্পের মধ্যে দিয়ে মাউন্ট এভারেস্টকে বর্জ্যমুক্ত করার প্রকল্প নিলো নেপাল। এমনটাই উঠে এসেছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির এক প্রতিবেদনে।
প্রতি বছর মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য অনেক পর্বতারোহী অভিযানে যান সেখানে। তাঁদের যাত্রাপথে পড়ে থাকে নানা আবর্জনা। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম খাবারের পাত্র ও উচ্ছিষ্ট, ছেড়া দড়ি, তাঁবুর ছেড়া অংশ, অক্সিজেনের বোতল, প্লাস্টিকের বোতল, মই এবং আরও নানা রকম জিনিস। এর ফলে ক্রমশ দূষিত হচ্ছে এভারেস্টের পরিবেশ। এবার এভারেস্ট বাঁচানোর উদ্যোগ নিলো নেপাল।
উদ্যোগটা শুধু আবর্জনা পরিষ্কার করা নয়। পর্যটকদের ফেলে আসা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে শিল্প সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে দেশটি। যে কাজের দায়িত্বে রয়েছেন দর্শনার্থী তথ্যকেন্দ্র সাগারমাথা নেক্স সেন্টারের প্রধান টমি গুস্তাফসন। তিনি জানান, এই কাজে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদেশি শিল্পীদের সাহায্যও নেওয়া হবে। রয়েছে একটি সংগ্রহশালা বানানোর ভাবনাও।
তারা স্থানীয়দের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শেখাবেন কীভাবে আর্বজনা দিয়ে সুন্দর কিছু বানানো এবং প্রদর্শন করা যায়। এভারেস্টের কাছাকাছি একটি গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হবে আবর্জনা দিয়ে তৈরি শিল্পকর্ম। এতে করে পর্বতকে আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে ফেলা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। আর এতে তরুণরাও হবে উৎসাহিত।
আরও পড়ুন: সাহারায় তুষারপাত
তবে বর্জ্য দিয়ে আর্টওয়ার্ক তৈরির প্রকল্পের আগেই অন্য একটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন আগে করতে হবে বলে মনে করছে নেপাল। নেপাল ঠিক করেছে, প্রত্যেক এভারেস্ট অভিযাত্রীকে কম করে এক কেজি বর্জ্য ফেরত আনার অনুরোধ করা হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অভিযাত্রীদের এই প্রকল্পে যুক্ত করা গেলে এভারেস্টের পরিবেশ অনেকটাই রক্ষা করা যাবে।
এভারেস্টের প্রথম আরোহী নিউজিল্যান্ডের স্যার অ্যাডমন্ড হিলারি ও নরওয়ের শেরপা তেনজিং। তারা ১৯৫৩ সালে মাউন্ট এভারেস্টে পা রাখেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার মানুষ ৬ হাজার ৫৫৩ বার নেপালের মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন।
ইত্তেফাক/এএইচপি