মিয়ানমারে গত নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে সরকারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাহিনীর পক্ষ থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন এই হুমকি দেন।
তবে সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। যদিও বিশ্লেষকেরা এটাকে অভ্যুত্থানের হুমকির মতোই মনে করছেন।
গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে বিজয়ী হয় সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু কিছু ডানপন্থি গ্রুপ ও সামরিক বাহিনী সমর্থিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা ভোটে জালিয়াতি হয়েছে বলে দাবি করেছে।
তারা বলছে, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় নির্বাচনে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনে ৮৬ লাখ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।
মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বলেছেন, ‘তারা যদি সমাধান না করে, তাহলে সংবিধান ও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেব।’
তিনি জানান, সেনাবাহিনীর প্রধান মিন ওয়াং হ্লেইংও নির্বাচনে প্রতারণা এবং নিরপেক্ষ হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন। সেনাবাহিনী অবশ্য অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।
জ মিন তুন বলেছেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়াসহ সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেব।’ তিনি ক্রস চেকের জন্য সর্বশেষ ভোটার তালিকাও চেয়েছেন। মিয়ানমারের সংবিধানে সেনাবাহিনীর জন্য পার্লামেন্টে ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দের কথা বলা আছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোতেও সেনা সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কানাডা আমেরিকার সম্পর্ক শীতল হচ্ছে: পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্ত
সু চির দল এনএলডির মুখপাত্র মাইও নাইয়ান্ত রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভোটে কোনো জালিয়াতি হয়েছে কি না, এটি দেখার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। অবশ্য এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইত্তেফাক/এসআর